অনলাইন ডেস্ক:
নভেম্বর মাস শেষে মূল্যস্ফীতি অক্টোবর থেকে শূন্য দশমিক ৬ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ এ তথ্য প্রকাশ করেন। মূল্যস্ফীতির তথ্য-উপাত্ত হিসাব করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে আগস্টে হার কিছুটা বেড়েছিল। যা এখন কমে আসছে। সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ১০ ও আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। তবে নভেম্বর মাসে খাদ্যপণ্যের দাম কমে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ হয়েছে, যা আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তেল-গ্যাস সরকার নিজে কিনে বিক্রি করে, সরকার কোনো মহাজন নয়। এটা নিয়ে লাভ করবে না। বিশ্ববাজারে দাম কমলে অবশ্যই সরকার কমাতে বাধ্য হবে।
মূল্যস্ফীতি পরিমাপকের সূচকগুলো পর্যালোচনা করবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এমন কিছু পণ্য যা নিত্য প্রয়োজনীয় না, তা এ তালিকায় রাখা হবে কি না ভাবা হবে। বর্তমানে ৪২২টি পণ্যের ওপর মূল্যস্ফীতি যাচাই করা হয়। এখন সেগুলো আবার পুনর্বিবেচনা করা হবে। কেননা এখানে সোনার দামও ধরা হয়েছে। সোনার দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়ে। এছাড়াও মাখন ও কফিসহ এ রকম অনেক পণ্যের দামও ধরা হয়। এগুলো সংশোধন করা হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তবে এ নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী।