খেলাধুলা ডেস্ক:
প্রথম দশ ওভারে এক উইকেটে ৭০ তোলা বাংলাদেশ পরের ১০ ওভারেই হারায় ৭টি উইকেট, তুলতে পারে মাত্র ৫৭টি রান। পাকিস্তানি বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মোটে ১২৭ রানের স্কোর গড়তে পারে টাইগাররা। যাতে সেমিতে ভারতের সঙ্গী হতে পাকিস্তানের দরকার মাত্র ১২৮ রান।
অথচ শুরুটা কিন্তু এমন ম্যাড়ম্যাড়ে ছিল না বাংলাদেশ দলের। রোববার অ্যাডিলেড ওভালে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় ম্যাচটি শুরু হওয়া এই ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে শান্তর দুই চার আর লিটনের এক ছক্কায় তৃতীয় ওভারেই ২১ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। তবে ছক্কা হজম করে ওই ওভারেই পঞ্চম বলেই লিটনকে সাজঘরের পথ দেখান পেসার শাহিন আফ্রিদি।
ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়ানো শান মাসুদের হাতে ধরা পড়ে ৮ বলে ১০ রান করে ফেরেন লিটন। এরই সাথে ওই ২১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এ অবস্থায় ক্রিজে এসেই ছক্কা হাঁকান সৌম্য সরকার। তবে এরপরে মাত্র একটি বাউন্ডারি মারা এই বাঁহাতি ফেরেন ১৭ বলে ২০ রান করে।
আর পরের বলেই সাকিবকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে হ্যাটট্রিকের আশা জাগান পাকিস্তানি লেগ স্পিনার শাদাব খান। তবে সেটা আর না হলেও দলীয় ৭৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দল।
অবশ্য এর আগে শান্তর সঙ্গে জুটি বেঁধে দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য যোগ করেন ৫২টি রান। যার ফলে পাওয়ার প্লে-তে ৪০ রান তোলা বাংলাদেশ তাদের প্রথম ১০ ওভারে জমা করতে পারে ৭০ রান।
এর ৩ রান পরেই পরপর দুই বলে সৌম্য-সাকিবকে হারিয়ে দল যখন বিপর্যয়ে, ঠিক তখনই আফিফকে সঙ্গী করে চলতি বিশ্বকাপে এবং নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতকটি আদায় করেন শান্ত। ৪৬ বলে ছয়টি চারের মারে ফিফটি ছোঁয়া শান্ত এরপর আরও একটি বাউণ্ডারি মেরে ফেরেন ইফতেখারের বলে বোল্ড হয়ে।
যার ফলে ৯১ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৪৮ বলে ৭ চারে ৫৪ রান করেন শান্ত। আর শান্ত ফিরতেই দুর্দান্ত আফ্রিদির সামনে একে একে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন মোসাদ্দেক (৫), সোহান (০) ও তাসকিন (১)। যার ফলে ১০৯ রানেই সপ্তম উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে সাকিবের দল।
শেষ পর্যন্ত তিনটি চার মারা আফিফ হোসাইনের ২০ বলে খেলা অপরাজিত ২৪ রানের কল্যাণে ওই ১২৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের পক্ষে এদিন শাহিন আফ্রিদি একাই দখল করেন ৪টি উইকেট, ২২ রান দিয়ে। এছাড়া শাদাব খান ২টি ও ইফতেখার ও হারিস রউফ লাভ করেন একটি করে উইকেট।