বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উত্তরা থেকে টঙ্গী রেলগেট উড়াল সড়ক এবং টঙ্গী সেতুর একাংশ আজ রোববার যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।
বিআরটি সূত্রে জানা গেছে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রকল্প পরিদর্শনের পর যান চলাচল শুরু হবে। ২০ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ বিআরটি লেনের সাড়ে চার কিলোমিটার থাকবে উড়াল সড়কে। বাকি ১৬ কিলোমিটার বিআরটি লেন মাটির সমতলে নির্মিত হচ্ছে। মাঝে রয়েছে ১৭৫ মিটার দীর্ঘ ১০ লেনের টঙ্গী সেতু।
সেতু ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। এ অংশের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মহিরুল ইসলাম খান জানান, উত্তরা থেকে টঙ্গী রেলগেট পর্যন্ত উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য দুই দশমিক দুই কিলোমিটার। এর দুই লেন আজ রোববার সড়ক পরিবহনমন্ত্রী যান চলাচলের জন্য খুলে দেবেন। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।
পিডি জানিয়েছেন, ফ্লাইওভার ও সেতুর দুই লেন যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও গাজীপুর মহানগর পুলিশের মতামত পাওয়া গেছে। এতে যানজটের দুর্ভোগ কমবে। দুই মহানগরের পুলিশ ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করবে।
বাসের জন্য বিশেষায়িত লেন তথা বিআরটি প্রকল্পটি ২০১২ সালে সরকারের অনুমোদন পায়। এ পদ্ধতিতে সড়কের মাঝে দুই লেনে চলবে শুধু বিশেষায়িত বাস।
২০১৬ সালে বিআরটি চালুর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে।
জানা গেছে, আজ ৬ নভেম্বর থেকে চালু হতে যাওয়া ফ্লাইওভার ও সেতুর দুই লেন টঙ্গী থেকে ঢাকামুখী যানবাহন ব্যবহার করবে। টঙ্গী সেতুর ঢাকামুখী পুরনো সেতু অপসারণ এবং সেখানে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে।ঢাকা থেকে টঙ্গীমুখী যানবাহনকে পুরনো সেতু ব্যবহার করতে হবে।