নজরুল ইসলাম খায়রুল, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: পুলিশ নারী কল্যাণের (পুনাক) কেন্দ্রিয় সভানেত্রী জীশান মীর্জার মহানুভবতায় চাকরি পেলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. আনিছুর রহমান।
কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন সমিতির অফিসে কম্পিউটার অপারেটর পদে তার চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে জীশান মীর্জার পক্ষ থেকে আনিছুর রহমানকে একটি কম্পিউটার উপহার এবং চাকরির নিয়োগপত্র হস্তান্তর করা হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা পুনাকের সভানেত্রী মাহফুজা নাজনীন দিষার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার)। বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন সমিতির আহ্বায়ক লেলিন রায়হান শুভ্র শাহীন।
শারীরিক প্রতিবন্ধী আনিছুর রহমান কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে দর্শন বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। কিছু দিন আগে আনিছুর নিজের জীবন ও তার প্রতিবন্ধী বোনসহ পরিবারের ভরণপোষনের জন্য চাকরি পাওয়ার আকুতি জানিয়ে তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি লেখা পোস্ট দেন। আর এই পোস্ট নজরে পড়ে পুলিশ নারী কল্যাণের (পুনাক) কেন্দ্রিয় সভানেত্রী জীশান মীর্জার। এরপর কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) এর সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ নারী কল্যাণের (পুনাক) কেন্দ্রিয় সভানেত্রী জীশান মীর্জা। আর এভাবেই চাকরির ব্যবস্থা হয় প্রতিবন্ধী আনিছুর রহমানের।
চাকরি পেয়ে আবেগাপ্লুত আনিছুর রহমান বলেন, নিজের জীবন ও পরিবারের জীবন বাঁচাতে একটি চাকরির জন্য দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়েছি। বহুবার নিজের ফেসবুক আইডিতে লেখা পোস্ট করে চাকরির জন্য আকুল আবেদন করেছি। কিন্তু কারও কাছ থেকে কোনো সাড়া পাইনি।
পুনাক ও পরিবহন সমিতির পক্ষ থেকে চাকরি ও কম্পিউটারের ব্যবস্থা করায় তিনি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) বলেন, সমাজে এমন আনিছুর আরও রয়েছেন। এমন চাকরিদাতাও রয়েছেন অনেক। আনিছুরের মতো যারা অবহেলিত অবস্থায় রয়েছেন, তাদেরকে খুঁজে এনে একটু সহায়তা করলে পরিবার ও সমাজ উপকৃত হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অনির্বাণ চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন সমিতির সদস্য সচিব শেখ ফরিদ আহাম্মদ প্রমুখসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।