গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা : মাদরাসায় পড়া না শিখায় রামিম মিয়া মাহিম (৭) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের শালীহর ভূইয়াপাড়ার নুনু মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তারাকান্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশুটির মা মোছা. ফরিদা বেগম।
শিশুর মা মোছা. ফরিদা বেগম জানান, তিনি একজন গার্মেন্ট কর্মী। তার ছেলে বাতুয়াদী দারুসুন্নাহ হাফিজিয়া মাদরাসায় হিফজ শাখায় লেখাপড়া করছে। বৃহস্পতিবার (২৪ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনি ছেলে মাহিমকে গোসল করাতে নিয়ে যায়। গোসলের সময়ে সন্তানের কাপড় খোলার সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পান পিঠ ও তার আশপাশের স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। শিশুটির শরীরে পানি দেয়ার সময় চিৎকার করে উঠে। সন্তানের শরীরের এমন আঘাতের চিহ্ন দেখে তিনি জ্ঞান হারান। ভিকটিম ও তার মা জানান, পড়া শিখতে না পারায় ওই মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো. মাজহারুল ইসলাম নির্মমভাবে প্রহার করেছে। শিশুটির শুধুমাত্র পিঠে ১১টি বেত্রাঘাতের দাগ ও চারপাশেও এমন অনেক দাগ রয়েছে। সন্তানের ওপর এমন নির্যাতনের বিচার চেয়ে তিনি তারাকান্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বাতুয়াদী দারুসুন্নাহ হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, মাহিম তার সম্পর্কে ভাতিজা হয়। তিনিই এ ছেলেকে লালন-পালন করছেন। ওর মা দু’মাস বয়সে ওকে রেখে চলে যায়। পড়া না শিকায় ২টি বেত্রাঘাত করেছেন।
অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের সোহেল। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।