অনলাইন ডেস্ক:
জাতির পিতা সোনার বাংলাদেশ গড়তে যে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেই সোনার মানুষ হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচারের যথাযথ জবাব দিতে নেতাকর্মী ও ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি প্রতিটি ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা থাকায় তারল্য নিয়ে কোনো গুজবে কান না দিতেও তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ব্যাংকে টাকা নাই বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। টাকা নেই বলে অনেকে টাকা তুলে ঘরে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকের থেকে টাকা নিয়ে ঘরে রাখলে চোরের পোয়াবারো, তারা চুরি করে খেতে পারবে। সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছে কেউ কেউ, এদের সঙ্গে চোরের সখ্যতা রয়েছে কি না সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গতকাল রাতে (৫ ডিসেম্বর) তিনি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণ বিষয়ক বৈঠক করেছেন এবং অর্থসচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গেও কথা বলেছেন। আজ সকালে অর্থমন্ত্রীর সাথেও এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। আল্লাহর রহমতে আমাদের কোথাও কোনো সমস্যা নাই। প্রতিটি ব্যাংকেই টাকা আছে। কাজেই আমি বলব গুজবে কেউ কান দেবেন না। এটাই সকলের কাছে আমার অনুরোধ।
তিনি বলেন, মিথ্যে কথা বলে মানুষকে তারা বিভ্রান্ত করতে চায়। একটা শ্রেণি আছে তারা এটা করবেই আমি জানি। কারণ মিথ্যে কথায় তারা পারদর্শী। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি আর সেটাকেই আমাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগায় তারা। কাজেই এদিকে সকলের বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। সরকার ৩৫ লাখ মানুষকে ঘর করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার এই বাংলাদেশে কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় ভূমিহীন-গৃহহীণ মানুষ খুঁজে বের করার আহ্বান জানান তিনি। তাদের বৃত্তান্ত দিলে সরকার তাদের পুনর্বাসন করবে বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছিলাম বলে ঘর ভরে গেছে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এর উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। জবাবটা বেশি কিছু না, ওরা যখন আমাদের বিরুদ্ধে যেটা লেখে তার জবাবে ওদের অপকর্মটা যদি কমেন্টে ছেড়ে দেওয়া যায় তাহলেই ওরা ওটা বন্ধ করে দেবে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে ভালো। ওরা যা বলবে বিএনপি ক্ষমতায় থেকে কি করেছে, তাদের অগ্নিসন্ত্রাস, তাদের খুন, কাকে কাকে মেরেছে, তাদের ভোট চুরি, ডাকাতি এগুলো তুলে দিলেই যথেষ্ট। আমার মনে হয় ছাত্রলীগ এই কাজটা করতে পারবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ও দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি যথাক্রমে কাউন্সিলে সাংগঠনিক প্রতিবেদন ও শোক প্রস্তাব পেশ করেন।নিহত ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসে।