সানজিদ মাহমুদ সুজন,জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর ঃ
শরীয়তপুরের জাজিরায় সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে জমির ভুল দাগে রেজিষ্ট্রি করায় অসহায় দুই পরিবারই হতাশ অবস্থায় দিন কাটায়। একই জমি একই দাগে দুইটি গ্রহিতাকে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়া হয়। এনিয়ে এলাকায় দুই দলের মধ্যে নানান বিভেদ সৃষ্টি হয়।জাজিরা উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের জয়নগর মৌজার অন্তর্গত খতিয়ান নং ১১২৬ শে কেবলমাত্র একটি দাগ ২৬২১। যার মালিক ১,হাতেম আলি ফকির ২, ইউনুস ফকির ৩,নুর আলী ফকির সর্ব পিতা রবিউল ফকির ৪, জয়গুন বিবি স্বামী শুকুর কাজী ৫, শিল্পী বিবি স্বামী শহর আলী।
গত ১৮/ ৪ /২০২২ ইং তারিখে,দলিল লেখক রিজভী আহমেদকে দিয়ে হাতেম আলী ফকিরের ছেলেগণ
জয়গুন বিবি হইতে রেজিষ্ট্রি করান । যার অবিকল নকল উত্তোলনে দেখা যায়, খতিয়ান নং লেখা হয়েছে ১১২৬ এবং দাগ নং লেখা হয়েছে ২৬১১ (দুই হাজার ছয়শত এগারো)
যেখানে জমির পরিমাণ ৫.৩৮ শতাংশ।বিক্রয় ও ক্রয় কৃত,
টাকায় মূল্য ৫ লক্ষ টাকা মাত্র।
পক্ষান্তরে নুর আলি ফকির,পিতা রবিউল্লাহ ফকির এবং রেজাউল করিম,পিতা ইনছা ফকির।
গত ১৪ /০৫/ ২০২২ তারিখে জয়গুন বিবি স্বামী শুকুর কাজী হইতে,ঐ একই খতিয়ান নং ১১২৬ এ ২৬২১ দাগে ৫.৭৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যার ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য ধরা হয় ১০ লক্ষ টাকা মাত্র।এরপরে তারা,নামজারি ও ভূমি কর পরিশোধ করেন।
উভয় মালিক যখন জমির দাবি করেন,তখনই বাজে বিপত্তি।স্থানীয় ভাবে কয়েক বার সালিশ করা হলেও,হয়নি কোন সমাধান।এলাকার লোকজন বাধ্য হয়েই,উভয় পক্ষকে,জাজিরা উপজেলা এসিল্যান্ড অফিসে,পাঠিয়ে দেন।একটি পক্ষ,তাদের সকল কাগজপত্র উপস্থাপন না করতে পারায়,তাদেরকে সময় প্রদান করা হয়।হাতেম আলি ফকিরের ছেলেদের,জমির, দাগ নং ভুল হলেও তারা যে কোন উপায়ে ২৬১১কে ২৬২১শে পরিনত করে। কিন্তু পাশে থাকা কথায় ( দুই হাজার ছয়শত এগারো )লেখাটির পরিবর্তন করতে পারেনি।
এ নিয়ে সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে যোগাযোগ করা হলে,তিনি বলেন লেখা এতো বিস্তারিত পড়ে কাজ করলে দিনে ৭-৮ টির বেশি দলিল করা সম্ভব নয়।এটা ক্রেতা ও বিক্রেতার দেখা উচিত ছিলো বলে দায় এড়িয়ে যায়। একটি সম্পত্তি ক্রয় বা বিক্র করলে রেকর্ড কপি,মুল দলিল,ওয়ারিশ সার্টিফিকেট ও ভুমি কর বা খাজনার কাগজ লাগে। চলমান খাজনার রশিদ সঠিক থাকলে বোঝা যায় জমিটির মালিকানা ঠিক আছে কিন্তু খাজনার রশিদ ছাড়াই কি দলিল হলো।
এতো কিছুর পরেও যদি ভুল হয়, দায়টা কার? অবশ্যই সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদেরিই, কেননা তাদেরকে বেতন দিয়ে সঠিক ও সুষ্ঠ ভাবে কাজ সম্পাদনে নিয়োগ প্রদান করা হয়।আর কোন ভাবেই এই দায়সাড়া কাজ দিয়ে সমষ্যা সমাধান সম্ভব নয়। জবাবদিহিতা ও সচ্ছতা থাকা উচিত প্রতিটা কাজের।
প্রথম দলিলে দাগ ভুল হয়েছে বলে ঠিক করে বা পক্ষে রায় দিলে।পরের দলিল কি হবে? সেখানে প্রায় ১১লক্ষ টাকা ও সময়ের ব্যাবহার হয়েছে, তা কি আর সঠিক ভাবে নিরুপন হবে,বা ২য় পক্ষ পেলে প্রথম পক্ষের অন্যায় কি? তার অন্যায় সে নিজে লেখেনি,তার অন্যায় সে রেজিষ্ট্রার অফিস্যারের চেয়ারে বসে ,দাগ খতিয়ান নংটা দেখেনি।সব দায় সারা কথা বললেও মুলত দায়টা, রেজিষ্ট্রার অফিস ও তহশিল অফিসের উপরেই বর্তায়,তাই এখনি সময় ডিজিটাল বাংলার, ডিজিটাল সেবা প্রদানে অনলাইন করার।আর এমন সকল কর্মকর্তা,কর্মচারি ও দলিল সম্পর্কিত লোকদের বিচারে আনার।