জামালপুর প্রতিনিধিঃ-জামালপুরের মেলান্দহ মলান্দহ পৌরসভার গোবিন্দপুর উমির পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের একটা বাড়ি থেকে মা ও মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (০১জানুয়ারী) সন্ধ্যায় পৌরসভার গোবিন্দপুর উমির পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের একটা বাড়ি থেকে মা জয়ফুল (৫০) এবং মেয়ে স্বপ্না (২৫) নামে দুইজনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত জয়ফুল মেলান্দহ পৌর শহরের গোবিন্দপুর এলাকার মৃত আকমত চৌধুরী স্ত্রী এবং নিহত স্বপ্না তার মেয়ে। নিহত স্বপ্না স্বামী পরিত্যক্তা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জয়ফুলের স্বামী অনেক আগে মারা গেছে। আকমল চৌধুরী মৃত্যু কালে স্ত্রী জয়ফল বেগম (৫৫) এক মেয়ে স্বপ্না বেগমের (২৫) ছেলে মিলন চৌধুরী ও মিস্টার চৌধুরী এবং জহুরুল ইসলাম কে রেখে মৃত্যু বরণ করেন।
মিলন চৌধুরী ও মিস্টার চৌধুরী দুই ছেলে ওমান প্রবাসী রয়েছেন। আরেক ছেলে জহুরুল ইসলাম সে বাড়িতেই থাকেন। মেয়ে স্বপ্নার বিয়ে হয়েছিল যশোরে। কিন্ত স্বপ্নার স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে সে মা’র সাথে বাবার বাড়িতে থাকতেন। গত দুইদিন আগে জহুরুল ইসলাম সে সস্ত্রীক হঠাৎ বাড়ি থেকে চলে যায়। তার পর থেকেই মা-বোনের থাকার ঘরের দরজা জানালা বন্ধ ছিল। গত দুই দিন যাবৎ ওমান থেকে নিহত জয়ফলের দুই ছেলে বারংবার ফোন দিয়েও ফোন রিসিভ না করার তারা বিচলিত হয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে ওমান থেকে দুই ছেলে তার মামা মানিককে ফোন করে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে নিহতের ভাই মানিকসহ অন্যান্য স্বজনরা গোবিন্দপুরে বাড়িতে এসে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ দেখতে পান। পরে প্রতিবেশী লোকজনের সহযোগিতায় তারা ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে মা-মেয়ের গলাকাটা লাশ দেখে চিৎকার শুরু করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসির ধারনা হয়তো পূর্ব শত্রুতার জেরধরে মা ও মেয়েকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএম ময়নুল ইসলাম জানান, মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি হত্যাকান্ড বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ মুহুতে হত্যাকান্ড বিষয়ে তদন্ত চলছে। এর বেশী কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন।