জামালপুর প্রতিনিধিঃ-জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায় ২০২১-২২অর্থ বছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী প্রকল্পের ১ম পর্যায়ের প্রকল্প ৪০ দিনের কাজ ১২ফেব্ররুয়ারী শুরু হয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পের তালিকায় ভূয়া শ্রমিকদের নাম নিবন্ধন করায় প্রতিটি প্রকল্পের কাজে সিংহ ভাগ শ্রমিক অনুপস্থিত রয়েছে। শ্রমিকদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে সমূদয় টাকা হরিলুটের জন্য প্রকল্প সংশিষ্টরা ট্রাক্টরে দায়সাড়া ভাবে মাটি কেটে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত কর্তৃপক্ষরা রহস্যজনক কারনে সঠিক তদারকিও করছেন না। এতে মেলান্দহে কর্মসংস্থান কর্মসূচী প্রকল্পের সাড়ে প্রায় ৫ কোটি টাকা হরিলুটের মহোৎসব চলছে।যেমন সুফল পাচ্ছে না অতিদরিদ্র শ্রমিকরা। ঠিক তেমনি কর্মসৃজন কর্মসূচির সরকারের আসল উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে ।
[মেলান্দহ উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সুত্রে জানাযায়, উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির ( ১ম পযার্য়ের) ৫৯টি প্রকল্পে ৪ কোটি ৫১ লাখ ৮৪ হাজার এবং কাজের সরমজানাদি(নন-ওয়েজ কষ্টের)৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা । সর্বমোট ৪ কোটি ৬১লাখ ৪৮হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত ১২ ফেব্ররুয়ারি থেকে কাজ শুরু থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত। দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতে ২হাজার ৮শ ২৪ জন অতিদরিদ্র নারী-পুরুষ শ্রমিকের ৩৯লাখ ৫০হাজার ৮শ ঘণফুট মাটি কাটার কথা রয়েছে।
১৫মার্চ স্বরে জমিনে দেখা গেছে দুরমুঠ কেন্দ্রীয় কবস্থানের দক্ষিণ পাশে গর্ত ভরাট,একই ইউনিয়নের সুলতানখালী মাইছাপাড়া সাধু সেকের বাড়ী হতে পাকা রাস্তা হয়ে শরবতেত বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট। নয়ানগর ইউনিয়নের সাধুপুর মোছা শেখেরর বাড়ী হইতে রফিকের বাড়ী পর্যন্ত এবং জলহকের বাড়ী হইতে মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পসহ প্রায় ৩০টি প্রকল্প পরিদর্শন করে দেখা গেছে প্রকল্পে গুলোতে কোন শ্রমিক নেই। তবে নাংলা, ফুলকোচা,ঘোষের পাড়া, ঝাউগড়া ও কুলিয়া ইউনিয়নের প্রকল্পগুলোতে কিছু ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। এসব ইউনিয়নে শ্রমিক উপস্থিতি এবং মাটি কাটা লক্ষ্য করা গেছে
এ বিষযে দুরমুঠ ইউনিয়নের সুলতানখালী মাইছাপাড়া সাধু সেকের বাড়ী হতে পাকা রাস্তা হয়ে শরবতেত বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য বেলাল মিয়া এবং প্রকল্পের সভাপতি নয়ানগর ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম এর কাছে প্রকল্পে শ্রমিক নেই কেন? মাটি কাটছেন না কেন? জানতে চাইলে তারা বলেন,প্রকল্পে কত টাকা বরাদ্দ, কতজন শ্রমিক, কত দিন কাজ করতে হবে, তা’আমরা কিছুই জানি না। সব জানেন চেয়াারম্যান সাহেব। এ ব্যাপারে নয়ানগর ইউপির চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন তিনি জানান, শ্রমিক উপস্থিতি এবং মাটি কাটার সকল দায়-দায়িত্ব প্রকল্পের সভাপতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার। দুরদুঠ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান জুবেরি বলেন,প্রকল্পের মাটি আগেই কাটা হয়েছে বলে জানান।
মেলান্দহ উপজেলা প্রকল্পবাস্ত বায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের কাছে শ্রমিক উপস্থিতি এবং মাটি কাটার দায়-দায়িত্ব আপনার আছে কি’না জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে তিনি বলেন সকল দায়-দায়িত্ব প্রকল্পের সভাপতির উপর বলে উল্লেখ করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়াারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান তিনি ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াা ব্যক্ত করে বলেন, আমি কর্মসৃজন প্রকল্পের দুর্নীতি রোধে একটি ভিডিও ক্যামেরা কিনে প্রকল্পগুলি ভিডিও করে রাখছি। পিআইওকে বলেছি যে সকল প্রকল্পে কাজ হচ্ছে না, সেই গুলোর যেন বিল না দেয়া হয়।