বিভাস কৃষ্ণ চৌধুরী টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ঃ টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম তার স্বামী কর্তৃক নৃশংস হতাকাণ্ডের একমাত্র আসামী মিজানুর রহমানের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে টাঙ্গাইল সাংস্কৃতিক কর্মী কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা সাংস্কৃতিক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি জাকির হোসেন, প্রধান পরামর্শক এলেন মল্লিক, কার্যকরি সভাপতি বিপ্লব দত্ত পল্টন, পরামর্শক
ফিরোজ আহমেদ বাচ্চু, সদস্য জহুরুল ইসলাম, মনোয়ারা বেগম, শাহনাজ সিদ্দিকী মুন্নী, ঝান্ডা চাকলাদার, কবি ডলি সিদ্দিকী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামকে তার স্বামী মিজানুর রহমান শ্বাসরোধ করে
হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় টাঙ্গাইলের ডিবি পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের দ্রুত ফাঁসি দাবি করছি। এছাড়াও এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান
তারা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ মার্চ কন্যা সন্তান জন্মের পর ২৭ মার্চ বিকালে
মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালের দোতলায় ১১ নম্বর কেবিনে রেদওয়ানা ইসলামকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠে। হত্যার পর তার স্বামী দেলোয়ার
হোসেন ওরফে মিজানুর রহমান সেখান থেকে পালিয়ে যায়। দেলোয়ার পাবনা সদর
থানার হেমায়েতপুর চর ভাঙ্গারিয়া গ্রামের এলাহী মোল্লার ছেলে। তিনি সোশাল ইসলামী ব্যাংক ভোলা সদরের মহাজনপট্টি শাখায় কর্মরত ছিলেন। আর নিহত খন্দকার
রেদওয়ানা ইসলাম রংপুর সদর থানার ইসলামপুর হনুমানতলার মৃত খন্দকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে। তিনি টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে কালচারাল অফিসারের দাঁয়িত্বে ছিলেন। এঘটনায় ওই বছরের ২৮ মার্চ নিহতের ছোট ভাই খন্দকার আরশাদুল আবিদ বাদী হয়ে রেদওয়ানার স্বামী মিজানুর রহমানকে আসামি করে
মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান গা ঢাকা দেয়। পরে চলতি মাসের ২৪ মার্চ টাঙ্গাইলের ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।