স্টাফ রিপোর্টার : ডিসিগণকে শতভাগ প্রকল্পের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের দায়িত্ব প্রদান সম্পর্কিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশ অবিলম্বে বাতিলের দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসুচির অংশ হিসাবে ময়মনসিংহে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মানববন্ধন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে আইইবি ময়মনসিংহ কেন্দ্র আয়োজিত পাটগুদাম ব্রীজমোড় সংলগ্ন আইইবি অফিসের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি উপো করে ওই মানববন্ধনে অংশ নেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আইইবি ময়মনসিংহ কেন্দ্রের চেয়ারম্যন প্রফেসর ও প্রকৌশলী মোঃ মঞ্জুরুল আলমের সভাপতিত্বে এবং আইইবি ময়মনসিংহ কেন্দ্রের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শীবেন্দ্র নারায়ণ গোপ এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান, গণপুর্ত ময়মনসিংহের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী একেএম কামরুজ্জামান, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুপারেটেন্টন্ড ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলী আফরোজা বেগম, ইইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইউসুফ আলী, বিএডিসির সুপারেটেন্টন্ড ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলী মুহাম্মদ বদরুল আলম, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইন্দ্রজিত দেবনাথ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা গত ১৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামের স্বারিত এক পত্রের মাধ্যমে ডিসিগণকে এডিপিভুক্ত শতভাগ প্রকল্প পরিবীক্ষণ ও মুল্যায়নের দায়িত্ব প্রদান সম্পর্কিত আদেশকে দেশের উন্নয়ন বিরোধী ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন। প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্পসমুহের বাস্তবায়ন মাঠ পর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলীগনের নেতৃত্বে হয়ে থাকে। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীগণ এ সব কাজ সরাসরি পরিবীক্ষণ ও মুল্যায়ন করে থাকেন। এছাড়া প্রধান প্রকৌশলী বা সংস্থা প্রধানের দপ্তরে প্রকল্প সমুহের মনিটরিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট সেল রয়েছে। যেখানে সারা দেশের কাজের পরিবীক্ষণ ও মুল্যায়ন হয়ে থাকে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম সরেজমিনে প্রকল্প পরিদর্শন করেন। প্রকৌশলীগণ আরো বলেন, প্রকল্প পরিবীক্ষণ ও মুল্যায়নে এডিপি অর্জনের হার সন্তোষজনক। প্রকল্প বিলম্বিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে বক্তারা বলেন, ভুমি অধিগ্রহণের কারণে অনেকক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হয়। এক্ষেত্রে ডিসিগণ ভুমি অধিগ্রহণে আরো তৎপর হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন বেগবান হবে। তারা আরো বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি ও পেশাগত জ্ঞানসম্পন্ন অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর প্রয়োজন। সমাবেশে প্রকৌশলীবৃন্দ বক্তব্যে বলেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রকৌশল পেশা সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন কাজের ধরন সম্পর্কে কোন কারিগরি জ্ঞান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কিত কোন অভিজ্ঞতা নেই। তাই উন্নয়ন কাজে তাদের দিয়ে পরিবীণ ও মূল্যায়ন করানো হলে মাঠ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনাকাঙ্খিত জটিলতা সৃষ্টি হবে। প্রশাসনিক দ্বৈনতা ও দ্বন্ধজনিত কারণে অযথা সময়পেণ হবে অন্যদিকে বিদ্যমান প্র“কল্প বাস্তবায়নে প্রশাসনিক বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা সৃষ্টি হওয়াসহ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বিত হবে, যা দেশের অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে দেবে। সেইসাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন রূপকল্প-২০৪১ এর অভিষ্ঠ ল্যমাত্র অর্জন ব্যাহত হবে।
প্রকৌশলী বক্তাগণ অবিলম্বে জেলা প্রশাসকদের এডিপিভুক্ত প্রকল্পের শতভাগ পরিবীণ ও মূল্যায়ন প্রদানের আদেশ বাতিল চেয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি)। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশটি বাতিল না হলে এ্যাসোসিয়েশনটির প থেকে কালো ব্যাজ ধারণ, সারাদেশে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালনের মতো কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আইইবি সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ শাহাদৎ হোসেন (শীবলু) স্বারিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।