তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দীর্ঘ দিনের জমি সংক্রান্ত জেরে প্রতিপক্ষের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তারাকান্দা থানা পুলিশ বিজ্ঞ আদালতের রায় না মেনে উক্ত জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করায় জটিলতা আরো বাড়ছে। । ভূক্তভোগী জমির মালিকের জমিতে সরকারী ভাবে কৃষিবিভাগের একটি মালটা বাগানের প্রকল্প ও বোরধান ক্ষেত মরে যাচ্ছে সেচের অভাবে। প্রতিপক্ষ জমিতে ও তারাকান্দা উপজেলার কৃষিবিভাগের প্রকল্পতে পানি দিতে বাধা দেওয়া এমন মর্মান্তিক ঘটনায় হতবাগ কৃষক। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ পানির লাইনে বাধা দিচ্ছেন ও ড্রেন করতে নিষেধ করছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বকশীমুল গ্রামের সজিব ফরায়জী ও রাশিদুল ইসলাম ফরায়জীর চাচাত দুই ভাইয়ের মাঝে দির্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ ছিল। স্থানীয় ভাবে মিমাংসা না হয়ে সজিব ফরায়জী তারাকান্দা থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ন্যায় বিচার না পেয়ে ময়মননিসংহ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন ভূক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম ফরায়জী। আদালতে শুনানী শেষে ২য় পক্ষকে কারণ দর্শাতে বলা হয়। সেই সাথে আদালত সরেজমিনে প্রতিবেদন চেয়ে তারাকান্দা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও তারাকান্দা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে নির্দেশনা দেন। অভিযোগ রয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন প্রতিবেদন না দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ যা বিজ্ঞ আদালতের আইনের প্রতি সন্মান দেখানো হয়নি।
ভূক্তভোগী সজিব ফরায়জীর অভিযোগ আদালতের নির্দেশমত কাজ না করে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে। এমন আদেশে হতবাগ তিনি। এ প্রতিবেদকে জানান, ১৪৪ ধারার ফলে জমিতে সেচের পানি দিতে না পারায় তারাকান্দা উপজেলার কৃষিবিভাগের একটি প্রকল্প ও ফসলের প্রায় ৫০ শতাংশ বোর ধানের ফসলের জমি মরে যাচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে উক্ত জমি ক্রয় সুত্রে ভোগ দখল করার কথা জানান তিনি।
জানা যায়,বকশিমূল খতিয়ানং ৩১০ এ ৪২ শতাংশ জমি রয়েছে । সেখান থেকে সজিব সিজার ফরায়জী জাহানারা বেগমের নিকট থেকে খারিজ ক্রমে জমি ক্রয় করেন। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ রাশিদুল ইসলাম মিস কেস ভাঙতে ফুলপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি ) তৃপ্তি কণা মন্ডলের নিকট আবেদন করেন। এ সময় তৃপ্তি কণার আদালত তা না মঞ্জুর করেন। সজিব সিজার মালিকানা সঠিক দাবি বলে উল্লেখ করেন এ নামঞ্জুর বিষয়ে।
প্রতিপক্ষ রাশিদুল ইসলাম বলেন এ জমি দুই ভাই ও তিন বোন মালিকানা দাবি থাকলেও জাহানারা একাই ২১ শতাংশ বিক্রি করায় এ ঝামেলা । আমরাও ন্যায় বিচার দাবি করি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে। এ সময় তারাকান্দা থানা পুলিশ ১৪৪ ধারার কথা শিকার করেন তিনি।
জমিতে পানি না দেওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন যেহেতু উভয় পক্ষ দখল করতে পারবে না তাই এ জমিতে পানি দেওয়ার নিয়ম নেই। ধানের জমির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অন্য জায়গা দিয়ে সজিব ফরায়জী জমিতে পানি দিতে সমস্যা হওয়ার কথা না। আমাকে তিনি দোষারুপ করছেন যা অযোক্তিক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারাকান্দা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও নোটিশকারী রুবেল মিয়া বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করার ফলে উভয় পক্ষ শান্তি বজায় থাকবে। ফসলের জমি ও মাল্টা বাগানের ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন অভিযোগ পেলে ফসলের জমিতে সেচ দিতে সহায়তা করা হবে। তবে তিনি স্বীকার করেন বিজ্ঞ আদালতে আজ পর্যন্ত কোন প্রতিবেদন পাঠানো হয়নি।