মোঃ মোহন মিয়া , দুর্গাপুর ( নেত্রকোনা ) : নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভায় ভেজা বালু পরিবহনে সড়কের বেহাল দশা, জনভোগান্তি চরমে। সোমেশ্বরী নদী থেকে দিবা রাত্রি উওোলিত ভেজা বালু পরিবহনের কারনে পৌরশহরের সড়কগুলো সবসময়ই কাঁদাপানিতে ডুবে থাকে। ট্রাকে করে ভেজা বালু পরিবহনের সময় নদীর পানি সড়কের ওপর পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে চলাচলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের। দুর্গাপুর পৌর শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা সোমেশ্বরী নদীটি একসময় ছিল অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য লীলাভূমি কিন্ত বর্তমানে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীটি বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে। সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের কোল ঘেঁষা দুর্গাপুর পর্যটকের অপার সম্ভাবনাময়। কিন্তু বর্তমানে রাস্তায় কাঁদা থাকার কারনে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ভ্রমণ পিপাসুরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ইজারাকৃত বালু মহাল থেকে পৌর শহরের প্রেসক্লাব মোড়, উপজেলা মোড়, উকিলপাড়া, কালীবাড়ী মোড়, ব্যাস্ততম তেরী বাজার রোড , কলেজ মোড় সহ বেশ কিছু সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রাক, লরি ও ড্রামট্রাক দিয়ে ভেজাবালু পরিবহন করায় সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি সহ কাঁদার স্তূপ বেঁধে থাকে। স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে কমে গেছে বেচা-কেনা। লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। দিনভর যান চলাচলের কারনে শত শত ট্রাক রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার কিছু সংগঠন সহ সাধারন মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম করেও কোনো লাভ হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন থেকে বার বার ভেজাবালু পরিবহন বন্ধের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে না। বালুবাহী ট্রাকের জন্য বাইপাস সড়কের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি এখনো। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল বালু ব্যবসা করে ব্যাপকভাবে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদী ও সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান সংবাদ কে বলেন, ভেজা বালু পরিবহন বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ইজারাদারদের ভেজা বালু পরিবহন বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এর পরেও যদি ভেজা বালু পরিবহন করা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেয়াহবে।