আবুল হাশেম,ধোবাউড়া(ময়মনসিংহ) থেকে : চলছে বোরো ধান কাটার মহোৎসব।পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরপুর কৃষকের মাঠ। সোনার ফসল ঘরে তুলার সময় এখন।ধানের বাম্পার ফলনে খুশি সাধারণ কৃষক।কিন্তু মাঠভর্তি পাকা ধান থাকলেও শ্রমিক সংকটে সোনার ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষক।একজন শ্রমিকের মজুরী দিতে বিক্রি করতে হচ্ছে প্রায় দুই মণ ধান । তাতেও মিলছেনা শ্রমিক।আকাশে মেঘ দেখলেই যেন কৃষকের মাথায় হাত।ফসলের মাঠে বসে ধান ঘরে না তোলার হতাশা ব্যক্ত করছেন কৃষক।এদিকে ধান ঘরে তুললেও ন্যায্য মূল্য নিয়ে হতাশ কৃষক। একজন শ্রমিকের মজুরী দিতে গিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে প্রায় দুই মণ ধান। এমন অবস্থায় কৃষির উপর আস্থা হারিয়ে ফেলছেন সাধারণ কৃষক। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে, বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষক হন্যে হয়ে শ্রমিক খোঁজছেন। লাঙ্গলজোড়া গ্রামের কৃষক আকবর আলী জানান , এত কষ্ট করে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ধান আবাদ করেছি কিন্তু ধান ঘরে তুলতে পারছিনা। কোনমতে ধান কাটলেও ধানের সঠিক দাম নেই। জমির আইল বাধা, সার ছিটানো, কীটনাশক ব্যবহার করাসহ কাটাপ্রতি যে খরচ হয় সেই খরচ তুলতেই হিমিশিম খেতে হচ্ছে কৃষকের। একজন শ্রমিকের মজুরি রয়েছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। একমন ধানের দাম ৬৫০ টাকা। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় প্রতি মন ধান ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি করছে কৃষকেরা। অনেক কৃষকের পাকা ধান শ্রমিকের অভাবে কাটতে পরছেনা। ফলে বাতাসে, বৃষ্টিতে এবং ঝড়ে নষ্ট হয়ে নুয়ে পড়ছে পাকা ধান। বৈরী আবহাওয়ার কারনে পাকা ধান নিয়ে শংকিত কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা হচ্ছে তবে তা খুবই সীমিত। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার তুষার বলেন,কাল বৈশাখী ঝড় বা শিলাবৃষ্টি হলে ধানের ক্ষতি হতে পারে,তবে ইতোমধ্যে ৫০ ভাগ ধান কেটে ফেলা হয়েছে, এক্ষেত্রে সমগ্র উপজেলায় দশটি হারভেস্টার মেশিন গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।তিনি জানান,প্রতিদিন একটি হারভেস্টার মেশিন দশ একর জমির ধান কাটতে পারে।ধোবাউড়া বাজারের ধান ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হোসেন জানান,ধানের মিলাররা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন তাই এর বেশী নেওয়া সম্ভব না।বাঘবেড় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান,কৃষকরা আবেদন করছে খুব শীগ্রই ১ হাজার আশি টাকায় সরকারীভাবে ধান ক্রয় শুরু হবে।