শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ফুলপুরে ভোটার হতে আসা ৫ রোহিঙ্গা নাগরিক আটক গণসংযোগে নেমেছেন আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী মোহাম্মদ আলী পাটগ্রাম হাতীবান্ধায় নৌকায় মাঝি হতে চান এমডি আতাউর রহমান প্রধান লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যটালিয়ন কতৃক ৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মুল্যের মাদকদ্রব্য ধংশ কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী সভা সফল করতে নাহিদের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার ৪ কর্মকর্তাকে বদলি বিশ্বকাপ খেলতে বিকেলে ভারত যাচ্ছে বাংলাদেশ ইরাকে বিয়ের অনুষ্ঠানে ভয়াবহ আগুন, নিহত ১১৩ রানীশংকৈলে পানিতে ডুবে মা সহ ২ ছেলের মৃত্যু অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারনে দুই হোটেল কে জরিমানা
নোটিশঃ
বিডি ২৪ ক্রাইম সাথে থাকুন। আপডেট খবর পড়ুন

নান্দাইলে কৃষি জমির মাটি যাচ্ছে ইট ভাটায় : হুমকীর মুখে আবাদ ও জনপথ

রির্পোটারের নাম / ৪৩ বার প্রিন্ট / ই-পেপার প্রিন্ট / ই-পেপার
আপডেট সময় :: মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:৪৯ অপরাহ্ণ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় কৃষি জমির উপরের অংশ (উর্বর মাটি, টপ সয়েল) কেটে নিয়ে যাচ্ছে ভাটা মালিকরা। উর্বর মাটি ইটভাটায় চলে যাওয়া ফসলি জমির সর্বনাশে ফসল উৎপাদন কমছে। শুধু তাই নয় ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে পরিবেশ। মাটিতে যে জিপসাম বা দস্তা থাকে তা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এতে মাটির জৈব শক্তি কমে গিয়ে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির সম্মুখিন সহ বিশ্বে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিবে। উপরি ভাগের জৈব পাশাপাশি মাটি পরিবহনকারী ট্রলি ও ট্রাকগুলো যেনতেনভাবে মাটি ভর্তি করে মহাসড়ক ও ইউপি’র গ্রামীণ কাচা-পাকারাস্তাগুলোতে চলাচল করায়, মাটি পড়ে রাস্তার ভিটুমিন নষ্ট ও রাস্তা ধেবে গিয়ে জনপথের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এতে বর্ষা আসলেই পাকা রাস্তার প্লাস্টার উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। ভারী যানবাহন গ্রামীণ রাস্তাগুলোতে চলাচলে কেউ বাধা না দেওয়ায় হুমকীর মুখে যাচ্ছে রাস্তাগুলো। এতে সরকারী আইন অনুযায়ী কৃষি জমির মাটি ভাটায় ব্যবহার নিষিদ্ধ। এই আইন লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদন্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানাগেছে, মশুল্লী, সিংরইল, গাংগাইল, আচারগাঁও ও নান্দাইল ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানের ফসলি জমির মাটির ৩ ফুট উপরি অংশ ইট ভাটায় চলে যাচ্ছে। ভেকু (এক্সকাভেটর) দিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি। ইট ভাটার দালালরা মূলত কৃষকদের বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে বা ভুল বুঝিয়ে জমির মাটি স্বল্প মূল্যে খরিদ করে তা ইট ভাটায় বিক্রী করছে ভাটা মালিকদের কাছে। এতে লাভবান হচ্ছে ইটভাটার মালিক সহ একটি দালাল চক্র। তবে লোভে পরে কৃষকদেরও ক্ষতি সহ নষ্ট হচ্ছে ভূমির পরিবেশ ও রাস্তাঘাট। তাই বছর প্রতি অবৈধভাবে ইটভাটার সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। উপজেলায় ২২টি ইটভাটা রয়েছে। তার মধ্যে ৪/৫টি ব্যতীত বাকীগুলো অবৈধভাবে স্থাপন করা হয়েছে। ইটভাটা মাটি বহন করে নিয়ে যাওয়া এক ট্রলীর ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, এই মাটি কোন ভাটায় যাচ্ছে তা বলতে রাজি নয়। তবে মাটি বা যেকোন ধরনের জিনিস টাকার বিনিময়ে বহন করাই তার পেশা বলে কেটে পড়ে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিছুজ্জমান বলেন, “উর্বর মাটি তৈরি হতে অনেক বছর সময় লাগে। একটি উদ্ভিদের ১৬ প্রকার খাদ্যের মধ্যে মাটিতে ১৩ প্রকার খাদ্য উপাদান রয়েছে। ফসলি জমির উপরিভাগ ৪-৬ ইঞ্চি মাটি বেশী উর্বর। তবে এভাবে উর্বর মাটি ভাটায় চলে গেলে ভবিষ্যতে ২০-৩০শতাংশ হারে ফসল উৎপাদন হ্রাস পাবে।” প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায়ই অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন জরিমানা আদায় করার পরেও তা নিয়ন্ত্রন হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবুল মনসুর জানান, এ বিষয়ে তিনি কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ পাননি তবে তিনি সরজমিন বিষয়টি দেখবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মতামত লিখুন
Theme Created By ThemesDealer.Com