নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ- ময়মনসিংহের নান্দাইলে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভোক্তভোগী মেম্বার প্রার্থী মো. আব্দুল কদ্দুছ। শুক্রবার (৭ই জানুয়ারী) উপজেলার ১১নং খারুয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট কারচুপির বিষয়ে সঠিক বিচার ও পুনরায় ভোট গণনার দাবী জানিয়ে উপজেলা রিটার্ণিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে মেম্বার প্রার্থী আব্দুল কদ্দুছ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেম্বার প্রার্থী মো. আব্দুল কদ্দুছের পুত্র মোরগ প্রতীকের এজেন্ট মো. হাসান মিয়া। অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার ১১নং খারুয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিসাবে তিনজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন। এতে মেম্বার প্রার্থী হিসাবে মোরগ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন আব্দুল কদ্দুছ মুন্সী। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টায় পর্যন্ত সুষ্ঠ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ভোটের ফলাফল ঘোষণায় হয় বিরম্বনা, চলতে থাকে কালক্ষেপন ও ভোট কারচুপির পরিকল্পনা। অবশেষে উক্ত নির্বাচন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা ভোট গণনায় কারচুপি করে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি মিলন মিয়ার টিউবওয়েল প্রতীককে অবৈধভাবে নির্বাচিত করে। মোরগ প্রতীকের এজেন্টধারী হাসান মিয়া ভোট কারচুপির বিষয়টি টের পেয়ে তাৎক্ষনিক পুনরায় ভোট গণার দাবী জানালে তাকে ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা পুলিশ ও বিজিবি বাহিনীর মাধ্যমে আটকে রেখে এবং বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে মেম্বার প্রার্থীর ফলাফল ঘোষণা না দিয়ে সবকিছু নিয়ে জোরপূর্বক কেন্দ্র ত্যাগ করে চলে যায়। এসময় চলে যাওয়ার সময় মোরগ প্রার্থীর সমর্থকরা বাধা দিলে গাড়ী চলমান অবস্থায় ফলাফলের একটি হযবরল সীট ফেলে রেখে চলে যায়। এ বিষয়ে মোরগ প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কদ্দুছ জানান, উক্ত ফলাফল সীটে কেন্দ্রের মোট ভোটারের সংখ্যার চেয়েও দুইশত ভোট বেশী গ্রহন দেখানো হয়েছে। যেখানে রিটার্র্নিং কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর রয়েছে। আমার ভোট গণনায় কারচুপি করে আমার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমি উক্ত কেন্দ্রের সঠিক ফলাফলের জন্য পুনরায় ভোট গণনার দাবী জানাই।