এস,আর শরিফুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট
লালমনিরহাট জেলাধীন পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত দহগ্রাম দিয়ে মানব পাচার এখন হাতের মোয়া।
দহগ্রাম দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন উপায়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মানব পাচার হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই।মাঝে মাঝে সামান্য কিছু ধরা পরলেও সিন্ডিকেটের মূল হোতারা সব সময় থেকেছ ধরা ছোয়ার বাহিরে।
এরকমই এক ঘটনা ঘটে ২৯ আগষ্ট সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রংপুরের গঙ্গাচড়া থেকে ৬ জন বাংলাদেশিকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মানব পাচারকারীরা। পাটগ্রাম রাজ হোটেলের সামনে থেকে ৬ জনের একটি দল ১৫০০শ টাকা ভাড়া দিবেন বলে মাইক্রো ভাড়া নিয়ে দহগ্রাম করিডোর ভেদ করে দহগ্রামে ঘুরাঘুরি করলে আঙ্গোরপোতা বিজিবি ক্যাম্পের সন্দেহ হয় এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে তারা কখনো মেয়ে দেখতে এসেছেন আবার কখনো বলেন ঘুরতে এসেছেন সহ টালবাহানা শুরু করে। এসময় বিজিবির সন্দেহ হলে তাদের আটক করলে তারা ভারত যাওয়ার উদ্দেশ্য দহগ্রামে এসেছে স্বীকার করেন। বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে তারা দলের মূল হোতা দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা বালারডাঙ্গার ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার রশিমুদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান ফাইনুল (২৫), একই এলাকার সাফিউল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম শান্ত(২২),মনির উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক(৩৫), মৃতঃ মাহবুবুল আলমের ছেলে মোঃ সুজন ইসলাম,আবেদ আলীর ছেলে মোঃ ফুয়াদ হোসেন(১৯),মোঃ রহমান হোসেনের ছেলে জাহিদুল (৩৩),মৃত নদীয়ার রহমানের ছেলে জেলাল হোসেন,পাটগ্রামের বাসিন্দা মোঃ দয়াল (মাইক্রো ড্রাইভার)এর নাম বললে আঙ্গোরপোতা বিজিবি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দ্বায়ের করেন।
দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন সাংবাদিকদের জানান,মানব পাচার বা পারাপারের সাথে যারাই জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।
পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক জানান,আটককৃতদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বিজিবি একটি মামলা দ্বায়ের করেছেন।আসামিদের খুব দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।