রঞ্জন মজুমদার শিবু : ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান বলেছেন, পুলিশি সেবা কার্যক্রমকে প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতেই বিট পুলিশিং। জনগণের সমস্যা এবং অভিযোগ সরাসরি বিটে কর্মরত অফিসারকে জানাতে পারে একজন ভুক্তভোগী। এখন থানায় না গিয়েও অনেকে জিডি বা অভিযোগ দিতে পারছেন কোন ধরণের হয়রানি ছাড়াই। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও বহনকারী পুলিশ জনগণের সাথে বেইমানি করতে পারেনা। পুলিশে দু,একজন খারাপ থাকতে পারে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। জনপ্রতিনিদির উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার বলেন, গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে অনেক স্থানীয় বিরোধ মিমাংসা হলেও মাথায় রাখতে হবে গ্রাম্য মাতব্বর বা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার চেয়ারম্যানরা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের মতো ঘটনার বিচার করতে পারবে না। এজন্য থানা পুলিশের সহায়তা নিতে হবে। থানা অফিসারকে অবগত করতে হবে। ভুল করেও যদি এ ধরণের বিচার শালিস কেউ করে, তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে।
রবিবার (০৬ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহ নগীরর খাগডহরের বাহাদুরপুর আবাসন মোড়ে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের বিট পুলিশিংয়ের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, মাদক হলো অপরাধের মা। মাদকের বিষয়ে পুলিশ জিরো ট্রলারেন্স। মাদকের বিষয়ে কোন ছাড় নয়। মাদক নির্মুলে দিনরাত কাজ করছে পুলিশ বাহিনী। পুলিশের কোন সদস্য যদি অপকর্ম করে, এমনকি মাদকের সাথে জড়িত থাকে, তাদের পোষাক থাকবে না। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, স্নেহের বাধণ দিয়ে সন্তানদের রক্ষা করতে না পারলে গোটা পুলিশ বাহিনী আপনার সন্তানকে রক্ষা করতে পারবেনা। নিজের সন্তান কখন কোথায় কার সাথে যায় তার খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে আগামীর উন্নত বাংলাদেশে আজকের যুবকরাই দায়িত্ব নিবে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আইন শৃংখলা বজায় রাখা অন্যতম শর্ত। সেই লক্ষে পুলিশ কাজ করছে। আইজিপির নির্দেশে বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে নিরবিচ্ছন্ন পুলিশী সেবা নিশ্চিত করতে দৌড় গোরায় পৌছে দিতে পুলিশ কাজ করছে। মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধীদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। নাম গোপন রেখে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়াসহ নিরাপদ বাসযোগ্য এলাকা গড়ে তোলা হবে।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন বলেন, অতীতে কোতোয়ালির ওসি সম্পর্কে প্রতিটি আইন শৃংখলা কমিটির সভায় অভিযোগ আসত। ওসি হিসাবে শাহ কামাল আকন্দ যোগদানের পর এখন কোতোয়ালি পুলিশ নিয়ে অভিযোগ পাওয়া যায় না। অতীতের যে কেন সময়ের চেয়ে অনেক ভাল আছে।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, গ্রাম হবে শহর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, সমাজের সকলস্তরে নিরবিচ্ছিন্ন পুলিশি সেবা দিতে আমরা চেষ্টা করছি। জনসাধারণের সাথে পুলিশের দূরত্ব কমানো এবং পুলিশ ভীতি কমাতে কাজ করছি। কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা ও জিডি করতে কোন টাকা পয়সা লাগেনা। এছাড়া মামলা করতে এখন আর কাউকে থানায় যেতে হয়না। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আইন শৃংখলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারনে গত ইউপি নির্বাচনে কোন সহিংসতা ঘটেনি।
পুলিশ পরিদর্শক ওয়াজেদ আলীর সঞ্চালনায় সমাবেশে কাউন্সিলর আবুল বাশার, ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক, শামছুল হক কালু, একরামুল হক, আলীগ নেতা কামরুল হক,শফিকুল ইসলাম তপন, আবু সাইদ বাদল, বিট অফিসার আনোয়ার হোসেন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।