স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ পুলিশের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, ময়মনসিংহে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক রুহুল কুদ্দুছ খান গত সোমবার দিবাগত রাত ১ টা ১৫ মিনিটে চরপড়াস্থ নয়াপাড়ায় তার নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি মৃত্যুকালে এক মেয়ে, এক ছেলে, স্ত্রীসহ ভাই, বোন ও বহু আত্বীয় স্বজন রেখে গেছেন।
মঙ্গলবার (১০ মে) সকাল সোয়া এগারোটায় ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্সে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাযায় রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান, রেঞ্জ অফিসের পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি, হাফিজুর রহমান, কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা, সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে বাদ আছর নিজ বাড়ি নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার খলিসাপুরে দ্বিতীয় নামাজে জানাযাশেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের লাশ দাফন করা হয়।
পুলিশ পরিদর্শক রুহুল কুদ্দুছ খানের মৃত্যুর খবরে তার মরদেহ দেখতে ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ও পুলিশ সুপার ফাহিমা হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুতান চাকমা, ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাল্গুনী নন্দি সহ অন্যান্যরা যান। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তাগণ বলেন, মরহুম রুহুল কুদ্দুছ খান কর্মজীবনে অত্যন্ত কর্মট ও দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা ছিলেন। এছাড়া তিনি সদালাপী এবং ভালো মনের মানুষ ছিলেন। মরহুম রুহুল কুদ্দুছ খান ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের এডমিন এবং ফিনান্স অফিসার ছিলেন। সদ্য প্রয়াত রুহুল কুদ্দুছ খান বৃহত্তর ময়মনসিংহের নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার খলিসাপুর গ্রামের স্বনামধন্য খান পরিবারের সদস্য ছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক (আইজিপি পদমর্যাদা) বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাঃ আবদুল হাননান খানের আপন ভাতিজা ছিলেন।