মো: আব্দুস ছাত্তার : ঘর-দরজা কিছুই ছিলনা, ছিলনা শিক্ষক-শিক্ষার্থী আশ্বাসে বিশ্বাসে বিপাকে পড়া শিক্ষকদের নিয়ে সুবিধাবাদী শিক্ষক নেতারা সারা দেশের ন্যায় বুধবার ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরে মানববন্ধন করেছে। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণ (এমপিওভুক্তির) এর দাবীতে তাদের এই কর্মসূচী বলে জানা গেছে।
জানা যায়, অত্র উপজেলায় ১৯৮৪ সাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত ৭টি প্রতিষ্ঠানের ৪জন করে ২৮জন শিক্ষক পাচ্ছেন অনুদানের টাকা। দীর্ঘদিন পর ২০০৪ সালে আবারও বই ও উপবৃত্তি চালু হয়। এরপর আবার বিলীন হতে থাকে ইবতেদায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০১৭ সালে বর্তমান সরকার ইবতেদায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণের আওতায় নিচ্ছে এমন ঘোষণায় নড়ে চড়ে বসে সংশ্লিষ্টরা। রাতারাতি প্রতিষ্ঠান পুন: নির্মানের কাজ শুরু করেন পুরাতন ও নতুন শিক্ষকরা। অনেকে আবাদী জমির উপর পুরাতন টিন দিয়ে পুরাতন ঘর নির্মান করেন। ১৯৮৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল দীর্ঘ সময়ে অনেক তালিকাভুক্ত শিক্ষক মারা গেছেন, অন্য চাকুরীতে যোগ দিয়েছেন আবার অনেকের চাকুরীর বয়স শেষ হয়েছে। সব মিলিয়ে শুন্যপদগুলো পূরণে পুরাতন শিক্ষক, সভাপতি, সমিতি কর্তৃপক্ষ মোটা অংকের টাকা নিয়ে নুতনদের সম্পৃক্ত করেন। জাতীয়করণ হচ্ছে পত্রিকার এমন খবরে সুযোগ সন্ধানীরা নতুনদের হাঁপিয়ে তুলেন। তারা টাকা দিয়ে এখন পড়েছেন বিপাকে। না পারছেন বলতে, না পারছেন মুখ খুলতে, না পারছেন সহ্য করতে। এক অনিশ্চয়তায় দিকে ধাপিত হচ্ছেন তারা। বর্তমানে ৯৫টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষক পড়েছেন বিপাকে। বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মৌহাতলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারী এর যোগসাজসে উপজেলাব্যাপী কয়েকশ শিক্ষকের নাম তালিকাভুক্তিতে রমরমা টাকার বাণিজ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন নতুন শিক্ষকেরা। তাদের মতে, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সর্বশেষ আপডেট জানার জন্য তার কাছে গেলে তিনি জানান দ্রুতই এমপিওভুক্তির ঘোষণা আসবে। আমরা নির্ভয়ে তাদের কে টাকা দিয়েছি। এখন চলছে সময়ক্ষেপন। বর্তমানে যে অবস্থা তাতে বুঝা যাচ্ছে অল্প সময়ে এমপিওভুক্তির কোন ঘোষণা আসার সম্ভবনা নেই। তারপরও আমরা আন্দোলনে তাদের সাথে আন্দোলনে যাচ্ছি কারণ এখন আর পেছানোর কোন সুযোগ নেই।
ইবতেদায়ী প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হচ্ছে সরকারের এমন ঘোষণায় তরিঘড়ি করে ঘর, দরজা বানিয়ে ভুয়া কাগজপত্র ও মনগড়া সভাপতির মাধ্যমে শিক্ষক তালিকা তৈরি করে। আর সেই শিক্ষকরা এখন দাবী আদায়ে আন্দোলন নেমেছেন এমন মতামত দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
একাধিক শিক্ষক জানান, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় নামমাত্র অনুদান পেতেন ৭ টি মাদ্রাসার ২৮ জন শিক্ষক। উপজেলার নেতাদের মুখের কথায় বিশ্বাস করে আমরা মানুষদের কাছ থেকে টাকা এনে ঘর, দরজা করে বদলী মাস্টার দিয়ে নানা জায়গায় পয়সা খরচ মানসিক চাপে আছি। শেষ মেষ কী হবে আল্লাহ ই ভালো জানেন।