মো: আব্দুস ছাত্তার : চেয়ারম্যান আসে চেয়ারম্যান যায় কিন্তু পূনরায় পাশ করলে নিজের সাথে নিজের দেখা হয় কিন্তু ফেল করলে কেউ কারো সাথে দেখা করে না। ইউপি সচিব পরিষদ খোলেন আর চেয়ারম্যান গিয়ে বসে পড়েন। কোথাও মিলাদ ও দোয়া হয় এমন খবর মাঝে মধ্যে পাওয়া যায়। কিন্তু ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ৮নং রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান ও নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিষদের চাবি হস্তান্তর করেছেন। যা ফুলবাড়িয়ার ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ৮নং রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বরণ ও বিদায়ী চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার চৌধুরী (সুরুজ চৌধুরী) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। সাবেক চেয়ারম্যান সালিনা চৌধুরী সুষমা ও বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুক্তা কে পরস্পর পরস্পরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। একে অপরকে ক্রেস্ট প্রদান করেন। নির্বাচিত নতুন সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। আদিবাসী শিক্ষার্থীরাও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিদায়ী চেয়ারম্যানকে। এরপর পরিষদের চাবির ছড়া হস্তান্তর করেন সাবেক চেয়ারম্যান সালিনা চৌধুরী সুষমা। ৫ বছর সময় গনণার জন্য বিদায় বেলায় একটি দেয়াল ঘড়ি উপহার দেন নতুন পরিষদকে বিদায়ী চেয়ারম্যান। একই পোশাকে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নজর কাড়ে উপস্থিত সকলের।
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আদিবাসিদের মন মাতানো নৃত্য অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। আদিবাসী মেয়েদের চমৎকার কিছু মন মাতানো নৃত্য।
এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটিয়ার কৃতি সন্তান ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপি-র ঢাকা ব্যুরো প্রধান জুলহাস আলম রিপন, বিদায়ী চেয়ারম্যান সালিনা চৌধুরী সুষমা, বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুক্তা, বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ।
বিদায়ী বক্তব্যে চেয়ারম্যান সালিনা চৌধুরী সুষমা বলেন, ৫ বছর আমাকে আপনারা খাদেম হিসাবে নির্বাচিত করেছিলেন, আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছি। কিন্তু কতটুকু পেরেছি, তা বিচারের দায়িত্ব আপনাদের হাতে। আমি আপনাদের ছিলাম, আছি, থাকবো। আপনারা সবাই মিলে পরিষদকে ভালো রাখুন, নিজে ভালো থাকুন অপরকে ভালো রাখতে চেষ্টা করুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুলহাস আলম রিপন বলেন, সকল বাঁধা অতিক্রম করে নতুন পরিষদ সামনের দিকে যাবে বলে প্রত্যাশা করি। বর্তমানে পরিষদে বেশির ভাগ নতুন ও যুবক। মাদক ও জুয়া নির্মুল না করতে পারলেও কন্ট্রোলে রাখতে পারলে সমাজ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। বেসিক জায়গায়টা শক্ত হাতে ধারন করতে হবে।