মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদন উপজেলার ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে বিলীন থেকে রক্ষার লক্ষে পানি উন্নয়ন বোর্ড যে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করেছেন তা কয়েকদিন যেতে না যেতেই ধস দেখা দিয়েছে। বর্ষার মৌসুমে তা বিলীন হওয়ার আশষ্কায় ভুগছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ২০২০-২১ অর্থ বছরে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ফতেপুর এস এ সি উচ্চ বিদ্যালয়টি ধলাই নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার লক্ষে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০০ মিটার বালি ভর্তি বস্তা দিয়ে বাঁধটি নির্মাণ করেন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বাধঁটি নির্মাণ করার সময় নিচের অংশে বালিভর্তি বস্তা আটকানোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে অপরিকল্পিত ভাবে বস্তা ফেলায় দিন দিন বস্তাগুলো নদীর তলদেশে চলে যাচ্ছে। এতে বাঁধটি মারাত্নক হুমকির মুখে আছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বাঁধের সব বস্তা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
ফতেপুর গ্রামের ফরিদ চৌধুরী, আব্দুল জব্বার, টুটন চৌধুরী, রকি খানসহ আরো অনেকে বলেন, কাজের শুরুতেই ঠিকাদার নানা তালবাহানা করে সময় অতিবাহিত করেন। বিদ্যালয়ের ঝুকিঁপূর্ণ সামনের অংশে কাজ না করে পিছনের অংশে নিচের বস্তা আটকানোর ব্যবস্থা না করে রাতে তরিগরি করে এলোমেলোভাবে বস্তা ফেলে চলে যান ঠিকাদার। ফলে বস্তাগুলো নদীর তলদেশে চলে যাচ্ছে। বিষয়টির দিকে দ্রুত নজর না দিলে সব বস্তা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে বাঁধ ধসে যাওয়ার বিষয়টি বার বার বলেছি। কিন্তু কোন কিছুই তারা শোনে না। মূলত কে শোনে কার কথা। যেভাবে বাঁধটির বস্তা এলোমেলোভাবে রয়েছে এক সময় নদীর গর্ভে তা বিলীন হয়ে যাবে।
প্রকল্পের ঠিকাদার রাজন জানান, বাধঁটি ধসে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আমি ঠিকমত কাজ করেছি। বর্ষার সময় ডাম্পিং করায় বস্তাগুলো এলোমেলো হয়ে গেছে। তবে এক বছরের মধ্যে বাঁেধর কোন সমস্যা দেখা দিলে তা আমি নিজ খরচে সংস্কার করব।
সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাখা কর্মকর্তা মিজানূর রহমান জানান, কাজের কোন ধরনের সমস্যা নেই। বর্ষার সময় বস্তা ডাম্পিং করায় এলোমেলো আছে। ঠিকাদারকে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করার জন্য বলেছি ।