সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
নোটিশঃ
বিডি ২৪ ক্রাইম সাথে থাকুন। আপডেট খবর পড়ুন

ময়মনসিংহে প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের অধিকার আদায়ের মানববন্ধন

রির্পোটারের নাম / ৯৫ বার প্রিন্ট / ই-পেপার প্রিন্ট / ই-পেপার
আপডেট সময় :: শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:০৭ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার : “সনদ যার চাকরি তার” এই অধিকার আদায়ের শ্লোগানে ময়মনসিংহে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠন ময়মনসিংহ জেলা শাখা।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সকালে নগরীর ফিরোজ জাহাঙ্গীর চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি খন্ডকালীন শিক্ষক আসমা উল হোসনা এলিজা এর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে সাধারণ সম্পাদক জাফর আলী, মোঃ আশেক মাহমুদ, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, তাছনিম সুলতানা, কারুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তাগণ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং কৃত্রিম শিক্ষক সংকট দূরীকরণে এক আবেদনে স্ব স্ব নীতিমালা অনুসারে কোটা বিহীন সকল নিবন্ধনকারীদের প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষক সমাজকে অভিশাপ মুক্ত করতে প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ এখন সময়ের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি। শিক্ষক নিবন্ধন সনদ চাকরির সনদ, একাডেমিক সনদ নয়। শিক্ষকতা ছাড়া এ সনদ কোনো কাজে আসবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে অর্জিত শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতার সনদ-শিক্ষক নিবন্ধন সনদ। তাই সনদ যার চাকরি তার।
বক্তাগণ আরো বলেন, ২০০৫ সাল থেকে যোগ্য শিক্ষক নির্বাচনের জন্য নিবন্ধন পরীক্ষা শুরু করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ নিবন্ধন পরীক্ষায় আমরা যারা পাশ করে সনদ পেয়েছি, তারা সবাই চাকরি পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৬টি নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারীদের জন্য মাত্র ৩টি গণবিজ্ঞপ্তি দিতে সক্ষম হয়েছে এনটিআরসিএ। কিন্তু সেখানেও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও অসচ্ছতা। আমরা আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে এনটিআরসিএ’র দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। এনটিআরসিএ আমাদের অনেক আইন কানুন দেখিয়েছে, কিন্তু যখন আমরা পরিপত্র দেখিয়েছি তখন তারা এ ব্যাপারে আর কথা বলতে রাজি হয়নি। তখন তারা বলেছে আমরা ছোট কর্মকর্তা, আপনারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যান। আমরা এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি, মাউশির পরিচালকের সাথে দেখা করে স্মারকলিপি দিয়েছি। শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোনো জবাব আমরা পাইনি বিধায় আমাদের অধিকার আদায়ের এই মানববন্ধন।
বক্তাগণ বলেন, যখন এনটিআরসিএ গঠিত হয়, তখন তাদের নীতিমালায় ছিল প্রতি বছর অক্টোবর মাসে উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার সংশ্লিষ্ট থানাধীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদ ও বিষয় ভিত্তিক পদ জেলা শিা অফিসার বরাবর দাখিল করবেন এবং জেলা শিক্ষা অফিসার উক্ত তালিকার সঠিকতা যাচাই করে নভেম্বর মাসের মধ্যে এনটিআরসিএ’র অনূকুলে পাঠাবেন। এনটিআরসিএ উক্ত তালিকার ভিত্তিতে পরীক্ষা গ্রহণ করবে। এভাবে চলছিল এনটিআরসিএ’র বাৎসরিক পরীক্ষা গ্রহণ। থানা বা জেলা ভিত্তিক পদ শূন্য না থাকলে ভালো পরীক্ষা দিয়েও নতুন করে নিবন্ধিত হওয়ার সুযোগ ছিল না। স্পষ্টত যে, ১-১২ তম নিবন্ধন ধারী সবাই শূন্য পোষ্টের বিপরীতে নির্বাচিত হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মতামত লিখুন
Theme Created By ThemesDealer.Com