এনামুল হক ছোটনঃ
জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২২ আগামী ১৭ ই সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে প্রার্থীর তাদের প্রচার ও প্রচারণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে থেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট আজহারুল ইসলাম। তিনি ব্যক্তিগত, পারিবারিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে ময়মনসিংহ জেলায় পরিচিত। তার পুরো নাম আজহারুল ইসলাম আজহার, তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার আহ্বায়ক।
তার পিতার নাম – মৃত আব্দুল খালেক, মাতার নাম -জমিলা খাতুন, স্থায়ী ঠিকানা -আকুয়া মন্ডল বাড়ি, ময়মনসিংহ, বর্তমান ঠিকানা – সপ্ননীড় টাওয়ার, সি কে ঘোষ রোড,ময়মনসিংহ। জন্ম তারিখ – ১ মার্চ ১৯৬২,ধর্ম- ইসলাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা – এম. এ ( এল এল বি), পেশা – আইনজীবী, সহ ধর্মিণী – বর্ণালী চৌধুরী, সন্তান- দুই মেয়ে, প্রিমা চৌধুরী ( এম বি বি এস) ও প্রিথা চৌধুরী মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নরত। পারিবারিক ভাবে তিনি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তার পিতা- মৃত আব্দুল মান্নান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি সক্রিয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ৮নং আকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। তার দুই ভাই ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের বটবৃক্ষ হিসেবে পরিচিত ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী এবং বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এর চাচাতো ভাই ও ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান শান্ত এর চাচা। তিনি বাল্যকাল থেকেই পারিবারিক ভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবীত হয়েই দেশ ও সমাজের মানুষের জন্য কাজ করার অনুপ্রেরণা লাভ করেছেন। সেই আদর্শেই তিনি ছাত্র জীবন থেকেই সততার সাথে তিনি ছাত্র লীগের রাজনীতি করেছেন,
এরই ধারাবাহিকতায় তিনি কোতোয়ালি থানা ছাত্র লীগের আহ্বায়ক ও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্র লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং আলমগীর মনসুর( মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজে ছাত্র সংসদের জি এস ও ভিপি ছিলেন আজহারুল ইসলাম। ১৯৮৯ সালে তিনি জেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন ও ১৯৯৫ সালে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। সিরিজ বোমা হামলায় সময় মিথ্যা মামলার আসামি করে গ্রেফতার করে অধ্যক্ষ মতিউর রহমানকে নিয়ে গেলে সেই সময় ময়মনসিংহ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন এডভোকেট আজহারুল ইসলাম। তখন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এর মুক্তির দাবিতে তিনি বিশাল মিছিল বের করেন এবং গ্রেফতার হন ও কারাভোগ করেন। এমনকি বিএনপি জামাত জোট সরকারের সময় তিনি বার বার নির্যাতন ও কারাগারে দিন কাটান। ১৯৯৮ সালে ময়মনসিংহ শহর শাখা যুবলীগের আহ্বায়ক হন। ২০০৪ সালে জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২০১৭ সালে ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হয়েছেন। তিনি রাজনৈতিক পাশাপাশি সামাজিক ক্ষেত্রে জনপ্রিয় একজন মানবিক নেতা।তাই তিনি বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। তিনি পরিবার পরিকল্পনা সমিতি ( এফ পি এ বি) ময়মনসিংহের সভাপতি ও সাবেক সভাপতি মালতি প্রভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও আলমগীর মনসুর ( মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজে গভর্নিং বডির সদস্য।
ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়ের গভর্নিং বডি সাবেক সদস্য ছিলেন। তিনি জামিয়া ইসলামি মাদ্রাসা, আকুয়া, সাবেক সদস্য ও জামিয়া আশরাফিয়া মাদ্রাসা, আকুয়া এর সদস্য এবং বর্তমানে জামিয়া ইসলামি মাদ্রাসার উপদেষ্টা। তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ময়মনসিংহের সদস্য এবং ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি ময়মনসিংহের অন্যতম মানবিক সংগঠন চরপাড়া সততা যুব সংঘ এর উপদেষ্টা।
বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজের মাধ্যমে তিনি মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রত্যাশী এড. আজহারুল ইসলাম জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের এর আদর্শের এবং জননেত্রী দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে জেলার মানুষ সহ যুব সমাজের উন্নয়নের জন্য একটি অনত্যম ক্ষেত্র হচ্ছে জেলা পরিষদ। তাই মানুষের উন্নয়নে ও সেবায় নিজের পরিধি বৃদ্ধি করতে জেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছি। জেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জেলা পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছি। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার সার্বিক কার্যক্রম বিবেচনা করে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দিলে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।