স্টাফ রিপোর্টার : ‘পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধআরে রই’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) আয়োাজিত সপ্তাহ ব্যাপী বইমেলা শেষ হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত ময়মনসিংহের দুজন কৃতি সন্তান ফোকলোরবিদ আমিনুর রহমান সুলতান ও ছড়াকার আনজীর লিটনকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকেল শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যান বৈশাখী মঞ্চে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সংবর্ধণা অনুষ্ঠানের সভাপতি ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, বই আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। আমরা এ ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই। তারই প্রোপটে এই বইমেলা ও সংবর্ধনা আয়োজন। তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তি যতই আসুক বইয়ের আবেদন সবসময়ই গভীর। আমাদের শুধু ইট কাঠ পাথরের নগরী গড়লেই হবে না, মনোস্তাত্বিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ ল্েয ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন বঙ্গবন্ধু গ্যালারি, বঙ্গবন্ধু চত্বর, এমএ মতিন লাইব্রেরি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করেছে। মেয়র আরও জানান, প্রাথমিকভাবে সিটির প্রতিটি জোনে একটি করে লাইব্রেরি করা হবে, পরবর্তীতে তা ওয়ার্ড পর্যায়ে স্থাপন করা হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) মোঃ ইউসুফ আলী। বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত হরিশংকর জলদাস, প্রাবন্ধিক ও সমালোচক মসিক সচিব রাজীব সরকার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আব্দুর রব মোশারফ।
উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলে আয়োাজিত এ বইমেলায় ৩৭ টি স্টলে দেশের স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থাসমূহ অংশগ্রহণ করে। মেলায় প্রায় ১০ ল টাকার বই বিক্রয় হয়েছে বলে জানান মেলা কতৃপ। মেলা চলাকালীন প্রতিদিন কুইজ, বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবিতা পাঠের আয়োজন করা হয়।