সানজিদ মাহমুদ সুজন,জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পালেরচড় ইউনিয়নের যুবলিগ নেতা ও ইউপি সদস্য জুয়েল সরদারের উপর এক অমানবিক ফ্লিম্যি কায়দায় সন্ত্রাষি হামলা ঘটানো হয়েছে।
গতকাল ৫ই সেপ্টেম্বর সন্ধা ৬টায়, ইউপি পরিসদে চেয়ারম্যান কতৃক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়,সেই আলোচনায় প্রায় সকল মেম্বার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।সভাটি শেষ হবার পর বাড়ি যাবার পথে, রাড়ি কান্দি এলাকায় তার গাড়ির গতিরোধ করা হয়, এবং ঐ এলাকার মেম্বার আক্তার হোসেন ও জলদস্যু এবং ডাকাত জুলহাস রাড়ি এর নেতৃত্তে প্রায় ১০- ১৫ জনের একটি দল, রানদা,চাইনিজ কুড়াল ও হাতুরি, রড নিয়ে তার উপর আক্রমন করে ও তাকে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়।
স্থানিয় সাধারন মানুষ বের হলে আতংক সৃস্টির জন্য বোমা ও গুলির শব্দের ন্যায় আতংক সৃষ্টি করে।
পরে স্থানিয় জনগন তার পরিবারকে জানালে, তারা তাকে নিয়ে হাসপাতালে আসে। এসময় হাসপাতালে এক করুন আহাজারির সৃস্টি হয়।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে তার অবস্থা দেখ চিকিৎসক, উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ডাকায় স্থানন্তরিত করেন।
এ সময় তাকে হাসপাতালে দেখতে যান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও তদন্ত অফিসার সুরুজ হোসেন সহ পুলিশ কর্মকর্তারা।
এসময় মানবিক ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল সর্দারের পরিবারকে তার নিজ পকেট থেকে ৫হাজার টাকা ও এম্বুলেন্স এর জরুরি ব্যাবস্থা করে দেন।
ওসি মোস্তাফিজের নির্দেশে, রাতেই এলাকায় হামলাকারীদের ধরতে ও শান্তিশৃংখলা রক্ষায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
এ সময় হামলাকৃত স্থান হতে ভাংগা হাতুরি ও লোহার কাঠের রোল জব্দ করা হয়।
ঘটনাস্থলে পৌছালে সাংবাদিকরা দেখতে পান রক্তের দাগ মুছে ফেলতে কাদামাটি দিয়ে প্রলেপ দিয়ে দিয়েছে।তবে আশে পাশে কয়েকটি স্যান্ডেল পরে আছে।ধস্তাধস্তির কারনে পাটের খরির গাদা ভেংগে ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে।
জুয়েলের পরিবার ও আত্মীয় সজন এর দ্রুত বিচার চান।সেই সাথে কিছুদিন আগে যুবলিগ নেতা সাইফুল মালত হত্যার কথাটিও স্মরন করিয়ে দেন।
স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে,এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। সেই সাথে এর বিচার দাবি করেন।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,এমন ঘটনা দুঃখ জনক।এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেই জন্য তার নজরদারি থাকবে।সেই সাথে জুয়েল সরদারের পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।