স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের কাঁটাখালি গ্রামে চাঞ্চল্যকর সুলতানা বেগম হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িত আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। গত ০৫ জানুয়ারি/২২ রাতে ত্রিশালের কাটাখালী হতে সেলিম মল্লিককে (৩০), (পিতা- আব্দুল খালেক) আটক করতে সক্ষম হয়।
গত ২রা জানুয়ারি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের কাঁটাখালি গ্রামে এক অজ্ঞাত পরিচয় নারীর মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার হয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ত্রিশাল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। এই হত্যাকান্ডটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে প্রচার হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
উক্ত চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক ঘটনা সংঘটনের সাথে সাথেই র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, পারিপার্শ্বিকতার বিচার ও নিহতের বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে নিবিড় তদন্তপূর্বক র্যাব-১৪ ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৪ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সেলিম নামে একজনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে নিশ্চিত হয় এবং গত ০৫ জানুয়ারি রাতে সেলিম মল্লিক (৩০), পিতা- আব্দুল খালেক, সাং- কাটাখালী, থানা- ত্রিশাল, জেলা- ময়মনসিংহকে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত সেলিম এই নির্মম, নৃশংস হত্যাকান্ডটি কিভাবে সংগটিত করেছিল সে সর্ম্পকে র্যাবকে অবহিত করে। পরবর্তীতে তার দেখানো জায়গা থেকে গতকাল ০৬ জানুয়ারি র্যাব সদস্যরা খন্ডিত মস্তকটি উদ্ধার করে। র্যাব-১৪ কর্তৃক মৃতের পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। মৃতের নাম মোছাঃ সুলতানা বেগম (২৭), পিতা- মোঃ ফুলু মিয়া, মাতা- মোছাঃ মেহেন্নাহার, গ্রাম- তিলকপাড়া, ডাকঘর- শুকরেরহাট (চেংমারী), থানা- মিঠামুকুর, জেলা- রংপুর। কর্মসংস্থানের জন্য সে গাজিপুরে বসবাস করত। সেলিম এর সাথে মৃতের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় এবং একটা পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। প্রায়শই তারা একে অপরের সাথে দেখা করত। সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানাই মৃত সুলতানা প্রেমের সূত্র ধরে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। সেলিম এই বিয়ের বিষয় হতে মুক্ত হতে পরিকল্পনা করে সুলতানাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনার রাত্রে সেলিম সুলতানাকে নির্মম, নৃশংসভাবে হত্যা করে, লাশের পরিচয় গোপন করার উদ্দেশ্যে দেহ থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন করে অন্য একটা জায়গায় লুকিয়ে রাখে। ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।