এস,আর শরিফুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট
লালমনিরহাট জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী আঃ মন্নাফ,সরকারের ব্যায় সংকোচন নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি
দেখিয়ে ব্যাক্তিগত কাজে সরকারি গাড়ী ব্যাবহার করে এক মাসে তেল পুড়লেন ৫৬০ লিটার।
সরকার যখন জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য ঢাক ঢোল পিটিয়ে ব্যায় সংকোচন নীতিতে দেশ পরিচালনা করছেন,তখন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী আঃমন্নাফ সরকারের সম্পদ হরিলুট করে ব্যাক্তিগত বিলাসিতায় নিম্নজ্জিত।সরকারের মুখপাত্র বারবার বৈশ্বিক পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে অপ্রয়োজনীয় ব্যায় সংকুচিত করার তাগাদা দিচ্ছেন, ঠিক সেই মুহুর্তে আঃমন্নাফের ব্যায় বিলাসিতায় বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ।
লালমনিরহাট জেলা এল,জি,ই,ডি সহকারী প্রকৌশলী আঃ মন্নাফ অফিসের সরকারি গাড়ী ব্যাবহার করে গত জুলাই মাসে ৫৬০লিটার তেল পুড়িয়েছেন,যার বর্তমান বাজার মুল্য ৬৩,৮৪০টাকা।লালমনিরহাট জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরে বর্তমান অর্থবছরে চলমান তেমন কোন বড় প্রকল্প নেই যা পরিদর্শনে এই তেল ব্যাবহারের সম্ভবনা রয়েছে,অনুসন্ধান করে জানা যায় সরকারি গাড়ী ব্যাবহার করে প্রতিদিন তার সন্তান কে স্কুলে আনা নেওয়া সহ সপ্তাহের একদিন তার নিজ বাড়ি পঞ্চগড় জেলায় যাতায়াত করতে সরকারি গাড়ী ব্যাবহার করায়, সরকারের অতিরিক্ত
জ্বালানী তিনি অপচয় করেন।
সহকারী প্রকৌশলী আঃমন্নাফের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোকদিবসের কর্মসূচীতে উপস্থিত না থেকে স্বস্ত্রীক দহগ্রাম বুড়িমারি ঘুরতে যান,
নাম গোপন রেখে তার গাড়ী চালক আলম কে জিজ্ঞেস করে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
সহকারী প্রকৌশলী আঃমন্নাফের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি ফাইল আটকিয়ে অযথা ঠিকাদারদের হয়রানি করেন,চাহিদা মোতাবেক অর্থ দিলে তবেই ফাইল ছাড়েন তিনি। তার অর্জিত বেতন ভাতার সাথে বিলাসী জীবনের বিস্তর পার্থক্য,০১লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন ব্যাবহার করেন এই কর্মকর্তা,এল,জি,ই,ডি ক্যাম্পাসে বাসা নিয়ে থাকায় সহজেই দেখা মিলে তার পরিবারের বিলাসী জীবন যাপনের নমুনা।বিলাসী জীবন যাপনে অভ্যস্ত আঃমন্নাফ শুধু বেতন ভাতার উপর নির্ভর নন তা অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে।এছাড়া তার নিম্নঅধিন্যাস্ত কর্মচারীদের সাথে অশোভন আচরনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আঃ মন্নাফদের মত দূর্নিতীবাজ কর্মকর্তাদের লাগাম টেনে ধরতে না পাড়লে বর্তমন সময়ে চলমান সংকট নিরসনে সরকারের ব্যায় সংকোচন নীতি ভেস্তে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।