এস,আর শরিফুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট
লালমনিরহাট সদর উপজেলার হাড়িভাঙ্গা এলাকার রমযান আলীর পুত্র ইসলাম ৩৮) ওরফে আসলামের সাবলের আঘাতে সৎ মা জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।এই ঘটনায় মা ছালেহা বেগম(৪৮)লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
এজাহার সুত্রে জানা যায় হাড়িভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা রমযান আলীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী বৃদ্ধা ছালেহা বেগম ও রমযান আলী ০৪শতক জমির উপর বসবাস করে আসছিলেন,অর্থকষ্টে ০২শতক জমি বিক্রি করেন রমযান আলী।অবশিষ্ট ০২শতক জমি ছালেহা রমযান আলী দম্পতির বসত ভিটা হিসেবে বসবাস করে আসছেন।রমযান আলী প্রথম
পক্ষের পুত্র ইসলাম ওরফে আসলাম দীর্ঘদিন ধরে অবশিষ্ট দুই শতক জমি লিখে দেবার জন্য চাপ দিয়ে আসছে।জমি লিখে না দেওয়ায় ইসলাম প্রায় সৎ মা ছালেহা বেগম কে অকথ্য ভাষায় গালি গালিজ সহ ভয় ভীতি দিয়ে আসছে,এতে কাজ না হওয়ায় রবিবার (১৩ নভেম্বর)বিকেলে বৃদ্ধা ছালেহা বেগমের বাড়ি থেকে বের হবার রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর নির্মান শুরু করে ইসলাম,এতে বৃদ্ধা ছালেহা বেগম নিষেধ করলে সৎ পুত্র ইসলাম ওরফে আসলাম ছালেহা বেগম কে গালি গালাজ করতে থাকে।এক পর্যায়ে ইসলাম লোহার সাবল নিয়ে এসে বৃদ্ধা মাকে আঘাত করে,সেই সাথে হুকুম দেয় তারপুত্র সুমন মিয়া,স্ত্রী শাহিনুর বেগম কে তার সৎ মাকে মারার।
বৃদ্ধা ছালেহা বেগমের সৎ পুত্র ইসলাম,তার পুত্র সুমন এবং স্ত্রী শাহিনুর বেগমের লাঠির আঘাতে ছালেহা বেগম মারাত্মক জখম হন,এসময় এলাকা বাসী এসে বৃদ্ধা ছালেহা বেগম কে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।বর্তমানে ছালেহা বেগম লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।যাহার রেজিষ্টেশন নাম্বারঃ২৮৫৭৭/৫৯।
এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে সদর থানায় বৃদ্ধা ছালেহা বেগম বাদী হয়ে অভিযোগ করেন,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল হক অভিযোগ নেওয়ার কথা স্বীকার করে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।
এলাকা বাসী নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন আসামী ইসলাম একজন লোভী প্রকৃতির মানুষ,সে বৃদ্ধা বাবা মা কে কোনরকম দেখা শুনা না করে তাদের সম্পত্তি দখলের জন্য প্রায়শঃ অত্যাচার করে তাদের উপর ।