এস,আর শরিফুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট সীমান্তে বিজিবি কে মেনেজ করে প্রকাশ্যে ভারত থেকে কাশিয়া আসছে।সপ্তাহে খানেক আগে কাশিয়া কে কেন্দ্র করে মোগলহাট সীমান্তে বিএসএফ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ায় মানুষ আতঙ্কিত রয়েছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের
সীমান্তে ভারত থেকে প্রবেশ করেছে ধরলা নদী,নদীর দুপাশে প্রতিবছর অসংখ্য চর জেগে উঠে, চরের হাজার হাজার একর জমিতে প্রাকৃতিক ভাবে কাশিয়া বেড়ে উঠে প্রতিবছর।এই কাশিয়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পানের বরজ তৈরীতে ব্যাবহার হয়ে থাকে।এবছর এই অঞ্চলের কাশিয়া নিতে রাজশাহী থেকে বিভিন্ন পাইকার এসেছেন।প্রতিদিন ৮/১০টি ট্রাকে করে এই কাশিয়া চলে যাচ্ছে রাজশাহী অঞ্চলে।এবছর কাশিয়ার চাহিদা বেশী থাকায় ভারতের অভ্যন্তরে ধরলা নদীর চরে যে সব কাশিয়া বেড়ে উঠেছে,তা আনার জন্য মোগলহাট ইউনিয়নের মোজাফার,শাহা আলী ঘাটিয়াল, জামাল সহ চার পাঁচজনের সিন্ডিকেট ভারতীয়দের টাকা দিয়ে কাশিয়া নেবার বায়না করে।মোগলহাট জিরো পয়েন্টে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে প্রকাশ্যে নৌকায় করে ভারত থেকে এসব কাশিয়া এনে ট্রাকে লোড দেওয়া হচ্ছে।গত ৩রা নভেম্বর ভারত সীমান্তে বাংলাদেশী শ্রমিক নৌকা নিয়ে কাশিয়া আনতে গেলে ভারতীয় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এলাকা বাসী।
মোগলহাট সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে, দেশীয় কাশিয়ার পাশাপাশি ভারত থেকে আসা কাশিয়া ট্রাকে লোড হচ্ছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান মোগলহাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আশরাফ হোসেন কে মেনেজ করে এসব কাশিয়া ভারত থেকে প্রকাশ্যে আসছে।
মোগলহাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আশরাফ হোসেন টাকা নেবার কথা অস্বীকার করে বলেন,ভারতীয় কাশিয়া যাতে কেউ না আনতে পারে এজন্য জোরদার টহল অব্যাহত রেখেছি।।যারা আমার বিরুদ্ধে এটি বলে তারা আমার সামনে এসে এটা বলূক।
এদিকে কাশিয়া কে কেন্দ্র করে সীমান্তে কোন ধরনের দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তাই সাধারন মানুষ উদিগ্ন।