মোঃ বিল্লাল হোসেন, শেরপুর
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে চাঞ্চল্যকর ইমান আলী (ফেকাসু) হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে ছাড়া পেয়ে মামলা তুলে নিতে বাদিকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে।
ফলে বাদি ও তার পরিবারের লোকজন এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। জানা গেছে গত ৬ অক্টোবর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের প্রতিপক্ষরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। ইমান আলী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের কাংশা গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে।
জানা যায়, কাংশা বাজারের জমি- জমা নিয়ে একই গ্রামের রমজান আলী, নুর নবী, আব্দুল জুব্বার, বাচ্চু মিয়া গংদের সাথে ইমান আলী ফেকাসুর দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে আদালতে একাধিক মামলা মোকদ্দমা রয়েছে । এসব মামলা মোকদ্দমার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো গ্রামের মানুষ ফেকাসুর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
ফুঁসে উঠে ফেকাসুর বিরুদ্ধে পুরো গ্রামের মানুষ। ঘটনার দিন বিকাল ৩ টার দিকে স্থানীয় জনৈক নাজমুল হোসেনের মোটরসাইকেলে করে মেয়ে জামাই বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় ফেকাসু । এসময় উল্লেখিত আসামীও তার লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দা,ফালা,টেটা ও লাঠিসোটা নিয়ে ফেকাসুর উপর আক্রমন করে।
এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ফেকাসুর । এ সময় সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ফেকাসুকে উদ্ধার করতে গেলে ফেকাসুর ভাই সামছুল হক ও আব্দুল লতিফ ও গুরুতরভাবে আহত হয়। এব্যাপারে ফেকাসুর স্ত্রী কমলা বেগম বাদি হয়ে ২৫ জনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০ জনকে আসামি করে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জরিত থাকার অভিযোগে ওই দিনই ঘটনাস্থল থেকে ৪নারীসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে আসামীদের ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ্দ করে।
আদালত ৫ আসামীর ২ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন পুলিশ রিমান্ডে আসামীদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। মামলা তদন্তের স্বার্থে গোপনীয়তা রক্ষা করতে হচ্ছে। অপরদিকে পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে অন্যান্য আসামীরা গা- ঢাকা দেয়। এবং পরবর্তীতে ১৭ আসামী হাইকোর্ট থেকে জামিনে আসেন।
বাদির অভিযোগ আসামীরা হাইকোর্ট থেকে ৪০ দিনের জামিনে এসেই মামলা তুলে নিতে তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রকাশ্যে অন্যান্যদেরকেও খুন গুম ও গ্রাম ছাড়া করার হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। ফলে বাদি ও তার পরিবারের লোকজন এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এর প্রতিকার চেয়ে কমলা বেগম শেরপুরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১০৭/ ১১৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এবিষয়ে কমলা বেগম সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।