রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় কাজে আসছে না ২০ কোটি টাকার সেতু

Reporter Name / ১৫৬ Time View প্রিন্ট / ই-পেপার প্রিন্ট / ই-পেপার
Update : বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ১২:১৯ অপরাহ্ণ

মোঃ বিল্লাল হোসেন, শেরপুর

নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এক বছর আগে। আজো নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। এ জন্য কাজে আসছে না প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যায়ে নতুন সেতু। দৃশ্যমান উন্নয়নে এই সেতুটি নির্মিত হয়েছে শেরপুর হতে শ্রীবরদী সড়কের লঙ্গরপাড়া এলাকার মৃগী নদীর ওপর। ফলে ঝুঁকি নিয়ে পাশের পুরনো সেতু দিয়েই চলাচল করছে যানবাহন ও পথচারীরা।

জানা যায়, শেরপুরের আখের বাজার থেকে লঙ্গরপাড়া হয়ে শ্রীবরদীর সড়কটির উন্নয়ন ও স¤প্রসারণ কাজ শেষ হয় প্রায় দেড় বছর আগে। এতে ব্যয় হয়েছে ৮২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর দৈর্ঘ্য ১৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার। ওই সড়কের লঙ্গরপাড়া এলাকায় মৃগী নদীর ওপর প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৪ দশমিক ২৭ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণ হয় গত বছর। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে শেরপুরের শ্রীবরদী, জামালপুরের বকশীগঞ্জ, কুড়িগ্রামের রৌমারী, রাজীবপুর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহগামী যানবাহন চলাচল করে। এই সড়ক ও সেতুর পুরো কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু সংযোগ সংড়ক নির্মাণ হয়নি। কাজে আসছে না সেতুটি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভূমি অধিগ্রহণে ধীরগতি আর জমির মূল্য পরিশোধ না করায় এতদিন সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ করা হয়নি। তাই প্রতিদিন ওই সড়কে থাকা ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন ও লোকজন। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।

স্থানীয় অধিবাসী ফিরোজ আহমেদ জানান, আগের সরু, ভাঙা রাস্তা ও সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই নতুন সেতুটিকে দ্রæত চালু করা প্রয়োজন। স্কুলশিক্ষক তহিজুল ইসলাম নীরব বলেন, আমি লঙ্গরপাড়া বাজারের একটি স্কুলে চাকরি করি। প্রতিদিনই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। অথচ কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করে ফেলে রাখছে। একটুখানি রাস্তার জন্য সেটি চালু হচ্ছে না। আমরা দ্রæত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে সেতুটি চালু করার দাবি জানাচ্ছি। অটোরিকশাচালক আবুল কালাম বলেন, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে গাড়ি মাঝে মধ্যেই নষ্ট হয়। খুব রিস্ক নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যাত্রীদেরও কষ্ট হয়। শিক্ষার্থী নয়ন মিয়া বলেন, প্রতিদিনই ভাঙা রাস্তায় ভ্যানগাড়ি দিয়ে স্কুলে যাই। প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। খুব ভয় করে। অল্পখানি রাস্তা। এই টুকু হলেই নতুন সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারতাম। একই কথা জানান শিক্ষার্থী আশামনি, সোহেল মিয়াসহ অনেকেই।

এ ব্যাপারে শেরপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যে ওই সেতু এলাকায় জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা শেষ হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের জন্য ৮ কোটি ৮২ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা জেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেওয়ায় তারা জমি অধিগ্রহণ করে আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। আশা করছি খুব শিগগিরই সেতুর সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এটি নির্মাণ হলে জনসাধারণের ভোগান্তিও শেষ। এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By ThemesDealer.Com