স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ টেকসই আগামীর জন্য জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) ময়মনসিংহ রেঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলা ফোকাল পয়েন্ট কমিটির আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২২ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ লাইন্সে মঙ্গলবার ৮ মার্চ এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি) শাহ আবিদ হোসেন, অন্ধত্ব, দাসত্ব ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ১৬০০ খ্রীস্টাব্দে আন্দোলন শুরু হয়েছে। ১৮৫৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি সুতা কারখানায় এই আন্দোলন প্রখড় হয়। ১৯১৪ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস শুরু হয়। বেগম রোকেয়া, নবাব ফয়জুন্নেছা, প্রীতিলতা, সুফিয়া কামাল, বেগম ফজিলাতুন্নেছা যিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধুতে তৈরী করেছেন। জাতির জনকের ক্রমাগত প্রচেস্টায় আমরা পতাকা পেয়েছি। তিনি বলেন, নারীর অধিকার, নারীর প্রতি করণীয় নিয়ে সংবিধানে দিকনির্দেশণা দেয়া আছে।
সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নারী-পুরুষ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ডিআইজি আরো বলেন, প্রতিটি েেত্র নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। পশ্চাদপদ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী পুলিশের সমতা এনেছেন। কর্মক্ষেত্রসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নারীকে জাগ্রত করতে সুরক্ষা আইন, পর্নোগ্রাফি ও শিশু আইন সম্পৃক্ত করেছেন। পুলিশে নারী সদস্য বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। আজ পুলিশে ৮ ভাগ নারী সদস্য রয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশের মুলধারায় কর্মক্ষেত্রে নারী বেড়েছে বলেই আজ নারী বেকারত্ব কমেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। অগ্রগতি হয়েছে শিা, স্বাস্থ্য ও নারীর মতায়নসহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে। যে হারে নারীর অগ্রগতি হয়েছে সে হারে কমেনি নারীর প্রতি সহিংসতা। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সামাজিকভাবে সোচ্চার হতে হবে। নারীর নিরাপত্তা, মর্যাদা ও মতায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি আধুনিক, কল্যাণমুখী ও কার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এ জন্য পুরুষদেরও দায়িত্ব রয়েছে। নারী বিরোধী নীতি বাচক মানসিকতা থেকে পুরুষদের এগিয়ে আসতে হবে।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে পুলিশ কমাড্যান্ট (পুলিশ সুপার) ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার ফাহিমা হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের সম্মান দিতে প্রতিটি থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধিদের জন্য হেল্প ডেক্স খুলেছে। এ জন্য একজন করে নারী পুলিশ কর্মকর্তা দেয়া হয়েছে। নারীদেরকে পুরুষের সাথে সমান্তরালভাবে চলার জন্য নিজেদেরকে যোগ্য করে তোলার আহবান জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা আফরোজ লাকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার রেঞ্জ অফিস মোঃ ফারুক হোসেন, পুলিশ সুপার টুরিস্ট মোঃ নাইমুর হাছান, পুলিশ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মাইমুনা মাহমুদ, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আনোয়ারা খাতুন, নারী শক্তি পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুচিত্রা সেন গুপ্তা, এসআই শারমীন জাহান শাম্মি, এএসআই ললিতা পারভীন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হানুল ইসলাম, ফাল্গুনী নন্দী, মোঃ হাফিজুর রহমান, সকহারী কমিশনার সেগুপ্তা মেহনাজ সহ কোতোয়ালি ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা, নারী নেত্রী, নারী পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে জেন্ডার বান্ধন রচনা প্রতিযোগীতায় পুরস্কার প্রদান করা হয়।;