অনলাইন ডেস্ক
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অন্যদিকে আপাতত তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও আগামী তিনদিনের মধ্যে কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে এটি।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।এ সময় সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে হাফিজুর রহমান বলেন, আগামী দিনে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
রোববার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, একই দিন সকালে সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, ৬ ডিসেম্বর দিনের শেষ দিকে লঘুচাটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৭ ডিসেম্বর এটি পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যদি এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তবে নাম হবে ম্যানদৌস। সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি ৮ ডিসেম্বর দুপুরের পর থেকে ভারতের তামিলনাড়ু ও শ্রীলংকার উত্তর উপকূল ঘেঁষে স্থলভাগে আঘাত হানার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলোর সবশেষ পূর্বাভাস অনুসারে ভারতের সর্ব দক্ষিণ রাজ্যে স্থল ভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে। সম্ভব্য এই ঘূর্ণিঝড়টি অনেক দক্ষিণে সরে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের ওপর কোনো প্রভাব পরার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট মেঘের বহিঃস্থ বৃষ্টি বলয় যা মেঘের ঘূর্ণনের কারণে সৃষ্টি হয় তা উত্তর দিকে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে অগ্রসর হলেও বাংলাদেশ পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা খুবই কম।
তবে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ডিসেম্বর মাসের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এরমধ্যে একটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। তবে কোনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া অধিদপ্তর।