রঞ্জন মজুমদার শিবু : ‘স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ : বঙ্গবন্ধু হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকালে ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউজ সংলগ্ন মাঠে জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে সকলকে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নয়নশীলে পরিনত করতে বিভিন্ন টার্গেট নির্ধারণ করেছেন সুদুরপ্রসারী নীতি ও কৌশল বাস্তবায়ন করে চলেছেন যার ফলস্বরূপ বাংলাদেশ আর্থসামাজিক বিভিন্ন সূচকে সাফল্য লাভ করেছে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি এর ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ স্বলোপান্নত দেশ হতে উত্তরণের সকল সূচকে উত্তীর্ণ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। সর্বশেষ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে সিডিপি’র ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় ০৫ বছরের প্রস্তুতিকালসহ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের চুড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। সব সূচক অর্জন করতে পারলে আমরা অবশ্যই উন্নয়নশীল হব। তাই আমাদের কাজ এগিয়ে নিতে হবে এবং টার্গেট পূরন করতে হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়ণে পদ্মাসেতু বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়াও বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমাদের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সঠিকভাবে কাজ করলে আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ শাহ আবিদ হোসেন বিপিএম (বার), স্থানীয় সরকার (উপ-পরিচালক) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান বিপিএম সেবা), মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি এহতেশামুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক বলেন, দেশ অনেক এগিয়ে গেছে এগিয়ে যাবে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সূচকগুলো হচ্ছে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার, শিার হার, স্কুলে ভর্তির হার বৃদ্ধি করা, দারিদ্রতার হার কমানো এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে, মাধ্যমিক স্তরে ভর্তিতে লিঙ্গসমতার হারের সমন্বয় তৈরি করা। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিচণ ও দুরদর্শী অর্থনৈতিক কৌশল গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দরিদ্র ও হত-দরিদ্র জনসংখ্যার হার দ্রুত হ্্রাস পেয়েছে এবং জীবনমানের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুব সমাজকে উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে।
এসময় বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিার্থীসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে ভিডিও প্রদর্শন ও বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।