এস,আর শরিফুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট
লালমনিরহাট সদর উপজেলা মোগলহাট ইউনিয়নের মোগলহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ বছর অনুপস্থিত থেকেও প্রতি মাসেই বেতন তুলতেছেন মনির আলী নামে এক বাংলা ও ইংরেজি সহকারি শিক্ষক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার স্বনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম মোগলহাট উচ্চ বিদ্যালয়। যে বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে দেশের বিভিন্ন দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা অর্জন করা অনেক শিক্ষার্থী।একসময়ের সুনামধন্য সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম আগের মত নেই বলে দাবি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের।
মোগলহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মনির আলী স্কুল সহকারি শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উটেছে।
মোগলহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা বলেন মনির আলী নামের শিক্ষকে আমরা দেখিনি চিনি না এই নাম প্রথম শুনলাম।
স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী রুমা আক্তার বলেন যে আমি ৬ষ্ট শ্রেনী থেকে নবম শ্রেণিতে উত্তির্ন হয়েছি এই তিন বছরে আমি কখনো মনির স্যারকে স্কুলে দেখিনাই।
নবম শ্রেণির ছাত্রী মাসুদা আক্তার বলেন আমি বিগত তিন বছরে মনির নামে আমাদের স্কুলে শিক্ষক আছে তা এই প্রথম আপনাদের মুখে শুনলাম।
উক্ত সুচতুর শিক্ষক মনির নানা প্রলোভন দেখিয়ে ছলে বলে কৌশলে অনেকের নিকট চাকুরী দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিয়েছেন। আদিতমারি উপজেলা ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী বাজার এলাকার তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাজ থেকে শিক্ষক মনির তাকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৭ লাখ টাকা নিয়েছেন বিনিময়ে প্রমান সরুপ দিয়েছেন তার নিজ নামিও পুবালী ব্যাংক লালমনিরহাট শাখার একখানা চেক।
ও একই এলাকা নুরুল মিয়াকেও জেল পুলিশের চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা ও হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উটেছে সহকারী শিক্ষক মনিরের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী তোফাজ্জল হোসেন ও নুরুল মিয়া বলেন একাধিক বার মোগলহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক মনির আলী ও প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন মোফার সঙ্গে দেখা করে টাকার বিষয়ে কথা বললে প্রধান শিক্ষক মোফা বলেন আমার মনিরের সঙ্গে কথা হয়েছে সে কয়েকদিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিবে। এ ভাবে ভুক্ত ভোগী তোফাজ্জল ও নুরুল মিয়া কে ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টাকা ফেরত না দিয়ে টালবাহানা করছেন শিক্ষক মনির, শিক্ষক মনির বিগত ৪ বছর থেকে স্কুলে ক্লাস না নেওয়ার ব্যাপারে যানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মোফা বলেন যে শিক্ষক মনির মেডিকেল চিকিৎসার কাগজ দেখিয়ে তিন মাস থেকে স্কুলে আসেন না। কিন্তুু ৪ বছর যাবৎ যে শিক্ষক মনির স্কুলে আসেন না সে ব্যপারে তিনি কোন উত্তর দিতে চাননি।সে ব্যপারে প্রধান শিক্ষক মোফার নিকট যানতে চাওয়া হলে যে আপনি প্রতিষ্টান প্রধান হয়েও কেন মনিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহন করলেন না সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ ব্যপারে আমি কোন কিছু বলবো না সব বলবেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। এলাকাবাসী সুত্রে যানাযায় যে উক্ত প্রথান শিক্ষক মোফার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্কুলের অর্থ আর্থসাৎ এর কারনে একাধিক পত্র পত্রিকায় ও টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা গ্রহন না করার কারনে তিনি কোন কিছুই তোয়াক্কা করেন না এবং তিনি গলা উচিয়ে বলেন আমি আওয়ামীলীগ করি তাই আপনারা সাংবাদিকরা যতই লিখেন না কেন আমার কিছুই করতে পারবেন না।
পরিশেষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন বলে আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবো না, আপনাদের জা ইচ্ছা তাই করেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার আবুল আশরাফ নুর কে স্কুল থেকে মুঠো ফোনে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসে নেই আমি নতুন যোগদান করেছি, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।