মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২০ অপরাহ্ন
নোটিশঃ
বিডি ২৪ ক্রাইম সাথে থাকুন। আপডেট খবর পড়ুন

৫ মাসেও অপহরন মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ -মামলার আসামি কতৃক বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি

রির্পোটারের নাম / ২১৩ বার প্রিন্ট / ই-পেপার প্রিন্ট / ই-পেপার
আপডেট সময় :: শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২, ৯:৫০ অপরাহ্ণ

এস,আর শরিফুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট

লালমনিরহাটে ৫ মাসেও অপহরন মামলার আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে আসামীর হুমকি

লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের মোস্তফি ধনিটারী গ্রামের নজরুল ইসলামের ৭ শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে নাছরিন আক্তার (১৩) কে মাদ্রাসায় যাতায়াতের পথে প্রতিদিন একই গ্রামের মোঃ সিদ্দিক মিয়ার পুত্র আব্দুল মালেক (৩৮) মৃত্যু আনোয়ার আলীর পুত্র আশরাফুল (৩০) ভালোবাসার প্রস্তাব দিতো তাদের ভালোবাসার প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে উক্ত মালেক ও আশরাফুল বিরক্ত করতো এবং বাজে ও নোংরা অশ্লীল কথা বলতো এবং কু-প্রস্তাব দিয়ে আসতো, তখন নাছরিন এসে তার বাড়িতে এসে তার বাবা ও মাকে তাদের দুজনের বিরক্তের কথা বলতো সেই কথা শুনে নাছরিনের বাবা নজরুল মালেক ও আশরাফুল কে ডেকে তার মেয়ে নাছরিনকে মাদ্রাসা যাতায়াতের পথে বিরক্ত না করার অনুরোধ করেন এবং বলেন যে তোমাদের দুজনের বয়স আমার মতো আর তোমরা দুজন আমার ১৩ বছরের মেয়ে কে কোন বিবেকে বিরক্ত করো আমার মেয়ে তো তোমাদের মেয়ের বয়সি এই কথা শুনে উক্ত মালেক ও আশরাফুল ক্ষিপ্ত হইয়া নাছরিনের বাবা নজরুল কে বলে আমাদের নজর তোর মেয়ের উপর পরেছে আমরা তোর মেয়েকে দেখে নিবো যা তোর যা করার করিস।এরেই ধারাবাহিকতায় গত ১৪/০৫/২০২২ ইং তারিখ সন্ধা অনুমান ৭ ঘটিকার সময় নজরুলের মেয়ে নাছরিন বাসার বাহিরে বের হলে পুর্ব পরিকল্পনামতো মালেক ও আশরাফুল ঐ এলাকার জোবেদা বেগম এর সহযোগিতায় আমার মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পুর্বক মাইক্রো বাসে তুলে মোস্তফিগামী পাকা রাস্তার দিকে রওনা করে। রওনা করার সময় নজরুলের মেয়ে বাচাঁও বাচাঁও বলে চিৎকার করিতে থাকলে আশেপাশের লোকজন মৃত্যু খাজির উদ্দিনের পুত্র আরিফুল ইসলাম, নার্গিস বেগম,ফকির উদ্দিনের পুত্র রাশেদ সহ মাইক্রোবাসটি আটকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তখন নাছরিনের বাবা নজরুল মালেক ও আশরাফুলের বাড়িতে গিয়ে তার নাবালিকা মেয়েকে জোড়পুর্রক মাইক্রোবাসে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে তখন মালেক ও আশরাফুলের বাড়ির লোকজন তার মেয়ে কে বাড়িতে ফেরত আনিয়া দেবার কথা বলে নজরুল কে বাড়িতে যেতে বলে। বিগত ১ সপ্তাহ সময় অতিবাহিত হলে নজরুল যখন তার নাবালিকা মেয়েকে ফেরত পায়না তখন সে লালমনিরহাট সদর থানায় গিয়ে মালেক, আশরাফুল ও জোবেদা বেগম কে আসামি করে একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন অভিযোগ টি সঠিক ভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য একজন সাব-ইন্সপেক্টর কে দায়িত্ব দেন ওসি শাহাআলম। মামলা টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় গত ০১/০৭/২০২২ ইং তারিখে অভিযোগ খানা অপহরন মামলা হিসেবে গন্য করে মামলাটি রেকর্ড করেন যাহার মামলা নং-০১/৩৬৩ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন ২০২০এর ৭/৩০ অপহরণ ও সহায়তার অপরাধ। মামলা টি রেকর্ড হবার ১ মাস পরে লালমনিরহাট থানা পুলিশ মামলার ৩ নং আসামি জোবেদা বেগম কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।জোবেদা বেগম ১ সপ্তাহ কারাবাসের পরে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।এদিকে ১৩ বছরের নাবালিকা নাছরিন কে ফেরত না পেযে তার বাবা ও মা পাগলের মতো অবস্থা হযে যায, তারপর লালমনিরহাট থানা পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান নাবালিকা নাছরিনের বাবা নজরুল কে বলে যে তোমার মেয়ের সংবাদ পেয়েছি তাকে আসামি মালেক ও আশরাফুল ঢাকা বাইবেল আশুলিয়া এলাকায় রেখেছে তুমি আমাদের কে ঢাকা যাওয়ার জন্য একটি মাইক্রোবাস ভারা করে দাও তখন গরীব রিকশা ওয়ালা নাছরিনের বাবা নজরুল ১৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি মাইক্রোবাস ভারা করে এসআই মিজানুর কে দেন এবং নাছরিনের বাবা নজরুল তাদের সঙ্গে ঢাকায় যেতে চাইলে এসআই মিজানুর রহমান বলে তোমাকে যেতে হবে না আমরা তোমার মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসবো।সেই আসায় মেযেকে ফিরে পাওয়ার আশায় বুক বেধে থাকে কিন্তু দুঃখের বিষয় যে ২ দিন পরে থানা পুলিশ ঢাকা থেকে ফিরে এসে নজরুল কে বলে আমরা তোমার মেয়েকে আনতে পারিনি আমরা যাওয়ার আগে তোমার মেয়েকে নিয়ে ঐ এলাকা থেকে মালেক ও আশরাফুল পালিয়ে গেছে।

এদিকে গত ১০ অক্টোবর মামলার ২ নং আসামি আশরাফুল লালমনিরহাট এসে নজরুল কে মামলা আপোষ মিমাংসা করার হুমকি দিচ্ছে বলে নাছরিনের বাবা সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন তিনি আরো বলেন যে আসামি আশরাফুল আমাকে মামলা আপোষ মিমাংসা করার হুমকি দিচ্ছে এ কথা আমি দারোগা মিজান কে বলেছি তিনি শোনার পরেও আসামি আশরাফুল কে গ্রেফতার করেন নি এদিকে আশরাফুল আমার পরিবার কে প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নেওয়ার ভয দেখাচ্ছে এবং বলছে মামলা তুলে না নিলে বেটা তোকে জানে মেরে ফেলবো। এদিকে গত ১২ অক্টোবর দুপুরে মামলার ৩ নং আসামি জোবেদা বেগম তার ছেলে মেয়ে সহ আরো কিছু মাস্তান ছেলেকে নিয়ে এসে আমাকে ডাং মাইর করে ও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয় আমি সেই ঘটনার সময় সঙ্গে সঙ্গে দারোগা মিজান কে ফোন করে ঘটনার কথা খুলে বলি কিন্তু দারোগা মিজান ঘটনা স্হলে আসেন না বা আসামি জোবেদার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্হা গ্রহন করেন না।এ দিকে আসামি আশরাফুল আমাকে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলে তোর মেয়েকে নাছরিনকে সন্তানের মা বানাবে তারপর মালেক তোর মেয়েকে ফেরত নিয়ে আসবে। মামলার বাদী নজরুল বর্তমানে নিজের জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে জানান তিনি আরো বলেন আমি আমার নাবালিকা মেয়ে নাছরিন কে ফেরত এনে দেওয়ার জন্য ও আসামি মালেক ও আশরাফুল কে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব সাইফুল ইসলাম মহোদয়ের নিকট জোড় দাবি জানাচ্ছি এবং কোন কারনে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করছে না তাও তিনি যানতে চান নজরুল আরো বলেন আমি গরীব রিকশা ওয়ালা বলে কি আমার মেয়ে অপহরন কারীদের গ্রেফতার করা হবে না বা আমি আমার মেয়ে কে ফেরত পাবো না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মতামত লিখুন
Theme Created By ThemesDealer.Com