স্টাফ রিপোর্টার : মঙ্গলবার (১০ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় ময়মনসিংহ শহরের ঢাকা বাইপাস এলাকা হতে অপহৃত ভিকটিম মার্জিয়া আক্তার মৌ (১৬) কে উদ্ধার করে পিবিআই, ময়মনসিংহ। মার্জিয়া আক্তার মৌ পিতা-বাদল মিয়া, সাং-ধলা ৯নং বালিপাড়া ইউনিয়ন, থানা-ত্রিশাল, জেলা-ময়মনসিংহ ধলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। মার্জিয়া আক্তার মৌ স্কুলে যাওয়া আসার পথে সুযোগ পেলেই ১নং বিবাদী মোঃ আজহারুল ইসলাম (২২), পিতা-নবী হোসেন, সাং-ধলা, থানা-ত্রিশাল, জেলা-ময়মনসিংহ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রেম নিবেদন করত। মার্জিয়া আক্তার মৌ প্রেমের প্রস্তাব অস্বীকার করলে ১নং বিবাদী মোঃ আজহারুল ইসলাম ভিকটিমের মুখে এসিড নিক্ষেপে চেহারা বিকৃত করে দেয়ার হুমকি দিতে থাকে। গত ২৪/০৩/২২ তারিখে বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ৩নং বিবাদী জিমি খাতুনের জন্মদিন উপলক্ষে কেক ও মিষ্টির সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে ভিকটিমের পরিবারের লোকদের খাইয়ে ভিকটিম মার্জিয়া আক্তার মৌকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনার ভিকটিম মার্জিয়া আক্তার মৌ এর মা মোছাঃ ফাতেমা খাতুন (৩৫) বাদী হয়ে ময়মনসিংহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ত্রিশাল থানার পিটিশন মামলা নং-৫১/২০২২, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৪/৭/৩০ দায়ের করেন।
অ্যাডিশনাল আইজিপি, পিবিআই জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার),পিপিএম এর তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই ময়মনসিংহ ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার, জনাব গৌতম কুমার বিশ^াস এর সার্বিক সহযোগিতায় মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ রফিকুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করেন।
পুলিশ সুপার, গৌতম কুমার বিশ্বাস এর দিক নির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধানে তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত পূর্বক গতকাল ১০ মে সকাল সাড়ে ৮টায় ময়মনসিংহ শহরের ঢাকা বাইপাস এলাকা হতে অপহৃত ভিকটিম মার্জিয়া আক্তার মৌ কে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে পিবিআই ময়মনসিংহ জেলার এসপি গৌতম কুমার বিশ^াস বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী অপহরণের ঘটনা। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই ময়মনসিংহ জেলাকে প্রদান করা হলে পিবিআই কর্তৃক অত্র মামলার ভিকটিম মার্জিয়া আক্তার মৌ কে উদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এক পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল ময়মনসিংহ শহরের ঢাকা বাইপাস এলাকা হতে অপহৃত ভিকটিম মার্জিয়া আক্তার মৌ কে উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, প্রায় ৩ বছর পূর্ব হতেই ১নং বিবাদী আজহারুল ইসলাম এর সাথে ভিকটিম মার্জিয়া আক্তার মৌ এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের বিষয়টি জানা-জানি হলে ভিকটিমের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় তারা গত ২৪/০৩/২০২২ তারিখে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং গাজীপুরের
কোনাবাড়ীতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে।