জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলা, সহিংসতা এবং মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে অন্তর্র্বতী সরকার। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে এই তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এ কমিটিতে তার সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় থেকে এক জন করে আরও দুই জন অতিরিক্ত সচিব থাকবেন। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্র্বতী সরকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে, এ সরকার ন্যায় বিচার ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অবৈধ কর্মকাণ্ড ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।
গতকাল বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বনির্ধারিত পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক নাশকতা ও সহিংসতা চালায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগসহ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সমর্থকরা। তারা প্রথমে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও তাতে আগুন দেয়। এরপর ইউএনওর গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থলে হামলা চালিয়ে মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপরও এনসিপি সেখানে সমাবেশ করে। তারা ফিরে আসার পথে এনসিপির নেতা-কর্মীদের গাড়িবহরে হামলা করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডাররা। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি।
পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ায় হামলাকারীরা। এক পর্যায়ে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়। মাঠে নামে সেনাবাহিনী। এরপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না বিধায় কারফিউ জারি করতে হয় প্রশাসনকে। সহিংসতা ও সংঘর্ষে ৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কিছু লোক।