মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ন

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন

Reporter Name / ৩৭ Time View
Update : সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫, ৬:০৮ পূর্বাহ্ন

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করেছে সরকার। দুর্ঘটনার কারণ, দায়দায়িত্ব, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ করতে এই কমিশন গঠন করা হয়েছে। রবিবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। কমিশনকে প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক সচিব এ কে এম জাফর উল্লা খান। অন্য সদস্যরা হলেন বিমানবাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান (প্রশাসন) এয়ার ভাইস মার্শাল এম সাঈদ হোসাইন (অব.), প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত), বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত), ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান, বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. আশিকুর রহমান ও আইনজীবী আশরাফ আলী।

প্রজ্ঞাপনের কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, কমিশন ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ ও দায়দায়িত্ব উদ্ঘাটন করবে; এ ঘটনায় স্কুলের ছাত্র, শিক্ষক ও অন্যান্য ব্যক্তির জীবনহানি ও গুরুতর আহত হওয়ার বিষয়সহ সব ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় চিহ্নিত করবে।

এ ছাড়া কার্যপরিধিতে রয়েছে বিমানবন্দরের অতি নিকটবর্তী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও অপরাপর স্থাপনা নির্মাণ এবং ফ্লাইং জোনের অবস্থানগত সঠিকতা ও নিরাপদ পরিচালন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনগত ও প্রশাসনিক বিষয়গুলো পরীক্ষা করা; দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন, ফ্লাইং জোনে ভবন নির্মাণ ও ভয়াবহ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ-সংক্রান্ত সুপারিশ প্রদান করা; এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সুপারিশ প্রদান করা এবং এই উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট যেকোনো কার্যসম্পাদন।

কার্যপরিধিতে আরো রয়েছে, তদন্ত কমিশন বাংলাদেশের যেকোনো স্থান পরিদর্শন এবং যেকোনো ব্যক্তিকে কমিশনে তলব ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে; কমিশন, দ্য কমিশনস অব ইনকোয়াইরি অ্যাক্ট-১৯৫৬ অনুসারে তদন্তের কাজ শেষ করে এই প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় তদন্ত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By ThemesDealer.Com