স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেসুর রহমান সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ধনঞ্জয় কুমার দাস ২০০৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ২(চ) অনুসারে ‘পলায়ন’র পর্যায়ভুক্ত অপরাধ। তিনি আইনসঙ্গত কারণ ছাড়া সরকারের আদেশ/নির্দেশ অবজ্ঞা করেছেন যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ২ (খ) এর (ই) মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এর পর্যায়ভুক্ত অপরাধ।এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রমিজ উদ্দিন আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তেজগাঁও থানায় ধনঞ্জয় কুমার দাসসহ ২২৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ধনঞ্জয় কুমার দাসের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’ এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে পলায়নের তারিখ থেকে ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ নামীয় গুরুদণ্ড প্রদান করা হলো। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। এদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় ধনঞ্জয় কুমার দাসের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৮২৬ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া তার নিজ নামীয় ১৪টি ব্যাংক হিসাবে মোট পাঁচ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজার ৫৯০ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গত বছরের ২১ আগস্ট সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পরিবার এবং তার সাবেক পিএস হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপুসহ আটজনের ব্যাংক হিসাবের সব লেনদেনের তথ্য তলব করে দুদক। গত ১ সেপ্টেম্বর তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।