কাকন সিকদার: রাজনীতি মানেই ত্যাগ আর সংগ্রাম — আর এই পথেই হেঁটেছেন চরকালেখা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাকিব। মাত্র ১৭ বছর বয়স থেকেই রাজনীতির মাঠে সক্রিয় এই তরুণ নেতা এখন মুলাদী উপজেলার একজন পরিচিত ও আস্থাভাজন নাম। ছাত্রদলের ব্যানারে রাজপথের আন্দোলন, দলীয় সংগঠন মজবুত করা, এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো—এসবই তাঁর প্রতিদিনের চর্চা। রাকিব বলেন, “রাজনীতি আমার কাছে ক্ষমতার জন্য নয়, এটা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর একটা সুযোগ।”
চরকালেখা ইউনিয়নের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করাটা সহজ ছিল না। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নিপীড়ন, মামলায় হয়রানি, এমনকি শারীরিক হামলার মুখেও পড়তে হয়েছে। কিন্তু তবু পিছপা হননি রাকিব। বরং তিনি দলীয় আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আরও শক্ত হয়ে মাঠে থেকেছেন।
দলের এক স্থানীয় নেতা বলেন, “রাকিব শুধু ছাত্রদলের নেতা নয়, সে এই এলাকার ছেলেমেয়েদের অনুপ্রেরণা। ওর মতো নেতারাই ভবিষ্যতের নেতৃত্ব তৈরি করবে।”শুধু রাজনীতি নয়, শফিকুল ইসলাম রাকিব মানবিক কাজেও এগিয়ে থাকেন সবসময়। করোনাকালীন সময় হোক বা ঈদে গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়ানো—রাকিব ছিলেন সবার আগে। স্থানীয় একজন বৃদ্ধ বলেন, “ঈদের সময় রাকিব আমার ঘরে চাল, মাংস দিয়ে গেছে। ওর মতো ছেলে সমাজে খুব দরকার।”
দলের জন্য বহু ত্যাগ স্বীকার করেছেন এই তরুণ। শিক্ষাজীবনে বাধা এলেও রাজনীতি থেকে সরে যাননি। তাঁর স্বপ্ন একদিন জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়া, তবে তৃণমূলে থেকেই তিনি গড়ে তুলতে চান একটি সচেতন ও সংগঠিত যুবসমাজ।শফিকুল ইসলাম রাকিব যেমন একজন সংগ্রামী ছাত্রনেতা, তেমনি একজন সাহসী মানবিক মানুষ—যার যাত্রা এখনও চলমান।