কুয়েত প্রতিনিধি: কুয়েতে মদপানে ২৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ৬৭ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্থানীয়ভাবে মদ তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগ, ফরেনসিক বিভাগ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ দল এই অভিযান পরিচালনা করে। প্রাথমিক তদন্তের পর সালমানিয়া এলাকায় নেপালি নাগরিক ভুবন লাল তামাংকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে বিষাক্ত মিথানল উদ্ধার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিক বিশাল ধানয়াল চৌহান এবং অন্যজন নেপালি নাগরিক নারায়ণ প্রসাদ ভশ্যাল। এরাও এই বিষাক্ত তরল উৎপাদন ও বিতরণের সঙ্গে জড়িত ছিল। এই চক্রের মূলহোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ডেলোরা প্রকাশ দরাজীকে, যাকে এর আগে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানে শুধু এই চক্রকে গ্রেফতারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। দেশটির বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানে অবৈধ মদ উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত অনেককে আটক করা হয়। একই সঙ্গে, ছয়টি অবৈধ মদের কারখানার সন্ধান পেয়ে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং আবাসিক ও শিল্প এলাকায় পরিচালিত আরও চারটি অবৈধ কারখানা সিলগালা করা হয়। এই অভিযানগুলোতে মোট ৩৪ জন পলাতক আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মিথানল মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং এর সেবন মৃত্যুর কারণ হতে পারে। মন্ত্রণালয় মাদক ও নেশাজাতীয় পদার্থ পাচার এবং এর সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। একই সাথে, দেশের নিরাপত্তা এবং জনগণের সুরক্ষাকে ঝুঁকিতে ফেলে এমন যে কোনো কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।