ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সংসদ (ডাকসু) পদপ্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলমকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলী হুসেনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দ্রুত তদন্ত শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্তের পর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কোনো অশোভন আচরণ সহ্য করবে না বলে জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রাধিকার।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ছাড়াও ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানা গেছে। এই ঘটনার মাধ্যমে একবারে সামনে এসেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা, বিশেষ করে ছাত্র রাজনীতির প্রেক্ষাপটে।
এর আগে, সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ওই দিন ডাকসু নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। পরে চেম্বার আদালত সেই রায় স্থগিত করলে শিক্ষার্থী ও পরিবেশ কিছুটা শান্ত হয়। এখন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে রিট দাখিল করেন ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য-২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক বি এম ফাহমিদা আলম। সেই রিটপিটিশানকে ঘিরে ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয় সেই শিক্ষার্থীকে। হুমকিটি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলি হুসেন, যিনি শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
ফেসবুকে আলি হুসেন ফাহমিদার ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, হাইকোর্টের বিপক্ষে আন্দোলন না করে আগে একে গণধর্ষণের পদযাত্রা করা উচিত। (কেউ এইসব শব্দচয়ন দেখে সুশীল হইয়েন না, যে একে সাপোর্ট করবে, উপরের কথাটা তার জন্যও প্রযোজ্য)।
বর্তমানে ওই ফেসবুক আইডিটি ডিএক্টিভেট রয়েছে। হুসেনের সতীর্থদের তথ্য মতে, তিনি নিজেই ওই আইডি পরিচালনা করেন।