নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, হামলা, পাল্টা হামলার ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে থাকা ম্যুরাল ভাঙচুর হবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এই এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
নিরাপত্তা বাড়ানোর অংশ হিসেবে আদালতের প্রত্যেকটি প্রবেশ মুখে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এপিসিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না কাউকে। চলমান রয়েছে তল্লাশি কার্যক্রমও।এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের ভেতর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য আছে। এ কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
ছাত্র-জনতার স্বৈরাচারবিরোধী অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। এর পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙা হয়। এরইমধ্যে গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ৬ মাস পূর্তিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অনলাইনে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। ঢাকায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
দুই দিন ধরে ভাঙচুরের পর শুক্রবার এক বিবৃতিতে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের কারো সম্পত্তিতে আর কোনো হামলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।